Dhaka 11:20 pm, Friday, 21 March 2025

রাজবাড়ীতে ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের সামনে ভিড় জমায় ভুক্তভোগীরা।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর শহরে ‘ঊষার আলো ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সাইদুল ইসলাম জানান, উজানচর জামতলা হাটে তার রিকশার যন্ত্রাংশের দোকানে সংস্থার কর্মকর্তারা এসে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখায়। শর্ত ছিল ঋণ পেতে হলে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় ও ৫ হাজার টাকা বীমা বাবদ জমা দিতে হবে। তিনি ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ নিতে গেলে দেখতে পান, অফিস তালাবদ্ধ এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ।

ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের ভাড়া নেয়া ভবনের মালিক প্রান্তি সুলতানা জানান, সংস্থাটি প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়ার শর্তে তিন বছরের জন্য অফিসটি ভাড়া নেয়। তবে, তারা কোনো লিখিত চুক্তিপত্র জমা দেয়নি।

সংস্থাটির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. রুবেল হাসান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘ঊষার আলো ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এনজিও তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল, তা সম্পর্কে রোববার জানতে পেরেছি। তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বললে তারা দুই দিনের সময় চায়। আজ জানতে পারলাম, তারা পালিয়ে গেছে। সংস্থাটি আমাদের রেজিস্ট্রেশন তালিকায় নেই।

গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রাজবাড়ীতে ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

Update Time : 03:35:16 pm, Friday, 21 March 2025

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর শহরে ‘ঊষার আলো ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সাইদুল ইসলাম জানান, উজানচর জামতলা হাটে তার রিকশার যন্ত্রাংশের দোকানে সংস্থার কর্মকর্তারা এসে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখায়। শর্ত ছিল ঋণ পেতে হলে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় ও ৫ হাজার টাকা বীমা বাবদ জমা দিতে হবে। তিনি ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ নিতে গেলে দেখতে পান, অফিস তালাবদ্ধ এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ।

ঊষার আলো ফাউন্ডেশনের ভাড়া নেয়া ভবনের মালিক প্রান্তি সুলতানা জানান, সংস্থাটি প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়ার শর্তে তিন বছরের জন্য অফিসটি ভাড়া নেয়। তবে, তারা কোনো লিখিত চুক্তিপত্র জমা দেয়নি।

সংস্থাটির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. রুবেল হাসান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘ঊষার আলো ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এনজিও তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল, তা সম্পর্কে রোববার জানতে পেরেছি। তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বললে তারা দুই দিনের সময় চায়। আজ জানতে পারলাম, তারা পালিয়ে গেছে। সংস্থাটি আমাদের রেজিস্ট্রেশন তালিকায় নেই।

গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’