
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পাথারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. সায়মার জীবন একসময় স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। স্বামী জমির আলীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। কয়েক বছরের মধ্যে তাদের ঘরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সেই সন্তান জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, আর সেই থেকেই সায়মার জীবনে শুরু হয় দুঃসহ অধ্যায়।
কন্যার জন্মের পরপরই সংসারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় জমির আলী বিদেশ পাড়ি জমান। প্রথমে পরিবারে স্বস্তি এলেও ধীরে ধীরে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সায়মার দাবি, বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই স্বামী তার খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেন, পাঠানো বন্ধ করেন খরচও। একইসঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আচরণ বদলে যেতে থাকে, শুরু হয় তার প্রতি অবহেলা ও নির্যাতন।
এখন শ্বশুর জৈন উদ্দিনের সঙ্গে জমি নিয়েও বিরোধে জড়িয়েছেন সায়মা। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আমার শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ কাঠা জায়গা কিনেছিলেন প্রায় ২২ বছর আগে, কিন্তু আজও সেই জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। জায়গা দাবি করায় উল্টো আমাকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে, এমনকি মারধরও করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এই বিষয়গুলো নিয়ে সায়মা একাধিকবার থানায় অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। সবশেষ চলতি মাসের ১৩ তারিখ শ্বশুরকে প্রধান আসামি করে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন এএসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’