
২০৫ রানের বিশাল পুঁজি নিয়েও জয়ের দেখা পেল না বাংলাদেশ। অব্যবস্থাপনা, বাজে ফিল্ডিং ও খারাপ বোলিংয়ের কারণে ম্যাচটি হাতছাড়া হলো একেবারে শেষ মুহূর্তে। স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ উইকেট ও ১ বল হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের হাত থেকে।
ব্যাটিং ইনিংসে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দেখিয়েছেন দায়িত্বশীলতা। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন লড়াকু ২০৫ রানের পাহাড়সম স্কোর। কিন্তু বোলার ও ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় সেই লিড ধরে রাখা গেল না।
পুরো ম্যাচে একের পর এক ওয়াইড, নো বল আর ওভার থ্রো প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়েই গেছে। মাঠে ক্যাচ মিসের মহড়া চলেছে যেন ধারাবাহিকভাবে। শেষ দুই ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল আমিরাতের, সেখান থেকেই ম্যাচ বের করে নেওয়াটা বড় এক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
১৯তম ওভারে শরিফুল ইসলাম প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে আশার আলো দেখালেও পরে ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ১৭ রান বিলিয়ে দেন। ওই ওভারের শেষ বলে ওভার থ্রোতে ৫ রান দিয়ে ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেন। হয়তো এই ভুলটাই তাঁর ক্যারিয়ারের বড় হতাশার মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
শেষ ওভারে বল করতে আসা তানজিম সাকিব শুরু করেন একটি ওয়াইড দিয়ে। এরপর দ্বিতীয় বলেই ছক্কা, তার পরপরই নো বল—মাত্র ৪ বলেই প্রতিপক্ষের দরকার পড়ে ৪ রান। যদিও মাঝখানে একটি উইকেট ফেলতে সক্ষম হন, তাতেও কিছু বদলায়নি। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে আরব আমিরাত।
এই হার শুধু একটি ম্যাচ হার নয়—এটি এক বড় বার্তা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গাফিলতির কোনো জায়গা নেই। প্রতিপক্ষ যতই দুর্বল হোক, খেলার প্রতিটি মুহূর্তেই লড়াই না করলে জয় অধরাই থেকে যাবে।