
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনে তাঁর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে চারটি আলাদা বৈঠক করতে যাচ্ছেন। ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দেশটির শীর্ষ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন।
দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি সামনে রেখে সামগ্রিক রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হলেও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতায় অগ্রাধিকার থাকবে। আর চীনের দিক থেকে জোর থাকবে সামগ্রিক রাজনৈতিক সহযোগিতায়। রাজনৈতিক সহযোগিতার কেন্দ্রে থাকবে এক চীন নীতি এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) বাংলাদেশের যুক্ততা।
কূটনৈতিক সূত্রগুলোর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বাংলাদেশ আর্থিক ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অর্থায়নের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলেও চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে দুই দেশের সম্পর্কের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে প্রাধান্য দিতে চায় না। চীন বলছে, আর্থিক সহযোগিতা সম্পর্কের একটি অংশ। ঢাকা–বেইজিং সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে উন্নতির স্বার্থে সহযোগিতাকে রাজনৈতিক পরিসরে দেখাটা বাঞ্ছনীয় এবং সেটাই বাস্তবসম্মত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৬ মার্চ দুপুরে চীনের পাঠানো চার্টার ফ্লাইটে হাইনান প্রদেশে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৭ মার্চ হাইনানে অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার ২৫ দেশের জোট বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বেইজিং যাবেন প্রধান উপদেষ্টা।২৮ তারিখে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন। দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি সহযোগিতার কয়েকটি বিষয়ে ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।