
রাজধানীতে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ গেষ্ট হাউজ কিংবা আবাসিক হোটেল। আর এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা এবং এসব অপরাধের কারনে রাজধানীতে সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে। কারন অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বাংলাদেশ মেডিক্যালের অপরদিকে অবস্থিত সাইনবোর্ড বিহীন একটি অবৈধ আবাসিক হোটেল অবস্থিত। তবে সাইনবোর্ড বিহীন হোটেলটি ভবনটির ৪র্থ তলায় একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে দির্ঘদীন ধরেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের অপকর্ম। জানা গেছে, উক্ত হোটেলটির পূর্বে নাম ছিল মনপূড়া। তৎকালীন সময়ে পুলিশের অভিযানে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে কয়েক মাস যেতে না যেতে সেটি আবারো ভাড়া নেন বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুব আলী ছেলে শহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নুরু এবং রুবেল। আর সহযোগীতায় রয়েছে হোটেল ঢাকা প্যালেজের ম্যানেজার স্বপন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে গড়ে তুলেছেন ভয়াবহ নারী ও মাদক সিন্ডিকেট। এসব বিষয়ে তাদের নিকট জানতে চাইলে গনমাধ্যম কর্মীকে হত্যাসহ অকথ্যভাষায় গালিগালছ করে থাকেন। যার একটি ভয়েজ রেকর্ড গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট প্রমানিত রয়েছে। তারা আরো বলেন, পুলিশ কয়দিন আমাদের রেড করবে, সময় হলে সবাই ম্যানেজ হবে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনকি ফ্ল্যাট বাসায় সুন্দরী নারীদের সংরক্ষন রেখে সুযোগ সুবিধা বুঝে তাদেরকে দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবসা করিয়ে থাকেন। আর এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী নারী কিংবা মাদক। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকরা কোন বিষয় না। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীতে পূর্বেও মাদক নারী বাণিজ্যের মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না।
এদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, ভাই পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।
অণ্যদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জকে এসব বিষয় অবগত করলে তিনি গত ২২ নভেম্ভর এস আই হালিম সরকারের সঙ্গীয় ফোর্সসগ উক্ত আবাসিক হোটেল অভিযানে পাঠান। কিন্তু অভিযানের আগেই তাদের নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যমেরার মাধ্যমে টের পেয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। যার ফলে তেমন কাউকে পায়নি। তবে এস আই হালিম সরকার বলেন, এসব বিষয়ে ওসি স্যার খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।
এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইতিপূর্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ আবাসিক হোটেলে একাধিক অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করে মামলাও দিয়েছেন। এরপরও এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান অব্যাহত রাখবো।
সম্প্রত্তি, এসব হোটেল ঘিরে রয়েছে বড় ধরনের একটি নারী চক্র ও মাদক কারবারী। উক্ত অপরাধীরা সহজ-সরল মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেল দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে এবং দেশ ও দেশের বাইরে রয়েছে একটি বড় নারী সিন্ডিকেট। কিন্তু আর যেহেতু এসব আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। সেটি কিন্তু এসব হোটেলের নেই এবং আবাসিক হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিএমপির কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার হুদিশ মিলছেনা এসব অবৈধ হোটেলে। সেটিও ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।