Dhaka 1:09 am, Saturday, 15 March 2025

১২ বছরের ব্যবধানে একই স্থানে একই ভাবে বাবা-ছেলের মৃত্যু

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুজল সরকার (২৪) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ঘরের পেছনে সেচযন্ত্রের সংযোগের জন্য বিদ্যুতের তার টানানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সুজল আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করেন, কিন্তু অর্থাভাবে তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন এবং বাড়িতে একাই থাকতেন।

সুজলের কাকা কল্লোল সরকার জানান, সুজলের বাড়ির পেছনে ১৬ কাঠার একটি ছোট মাছের ঘের রয়েছে। সেই ঘেরের জন্য সেচের ব্যবস্থায় একটি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। ২০১৩ সালে এই সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার সময় সুজলের বাবা উজ্জ্বল সরকার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে সম্প্রতি ঘেরের পানি সেচে বের করার জন্য সুজল আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে নতুন বৈদ্যুতিক মিটার পান।

আজ (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে সুজল সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের তার টানাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পাশের বিদ্যুতের আর্থিংয়ের তারের ওপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত উদ্ধার করে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, “মৃত অবস্থায় সুজল নামে এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হয়। সম্ভবত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে।”

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম জানান, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

১২ বছরের ব্যবধানে একই স্থানে একই ভাবে বাবা-ছেলের মৃত্যু

Update Time : 01:08:57 pm, Monday, 3 February 2025

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুজল সরকার (২৪) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ঘরের পেছনে সেচযন্ত্রের সংযোগের জন্য বিদ্যুতের তার টানানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সুজল আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পাস করেন, কিন্তু অর্থাভাবে তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন এবং বাড়িতে একাই থাকতেন।

সুজলের কাকা কল্লোল সরকার জানান, সুজলের বাড়ির পেছনে ১৬ কাঠার একটি ছোট মাছের ঘের রয়েছে। সেই ঘেরের জন্য সেচের ব্যবস্থায় একটি বৈদ্যুতিক মিটার ছিল। ২০১৩ সালে এই সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার সময় সুজলের বাবা উজ্জ্বল সরকার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে সম্প্রতি ঘেরের পানি সেচে বের করার জন্য সুজল আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে নতুন বৈদ্যুতিক মিটার পান।

আজ (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে সুজল সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের তার টানাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পাশের বিদ্যুতের আর্থিংয়ের তারের ওপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত উদ্ধার করে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, “মৃত অবস্থায় সুজল নামে এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হয়। সম্ভবত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে।”

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম জানান, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।