
পুলিশের হাতে আর চাইনিজ রাইফেল, সাব-মেশিন গান কিংবা ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব অস্ত্র থাকবে কেবল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কাছে। পুলিশকে তাদের হাতে থাকা মারণাস্ত্রসমূহ জমা দিতে হবে।
সোমবার (১২ মে) আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “মারণাস্ত্র শুধু থাকবে এপিবিএনের হাতে। পুলিশের অভিযানে এসব অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।”
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার দাবি ওঠে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনেও কয়েকজন ডিসি পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সুপারিশ করেছিলেন।
পুলিশের কাছে কোন কোন ধরনের অস্ত্র থাকবে এবং তাদের দায়িত্ব পালনের পদ্ধতি কেমন হবে—সে বিষয়ে সুপারিশ তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী।
এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজকে। পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের এই কমিটিতে বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবে। প্রয়োজনে কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।