
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে চলছে নিয়মিত ঘুষ বাণিজ্য খোজ নিয়ে দেখা যায় একটি সক্রিয় দালাল চক্রের। ৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও বেশ ভালো চলার কথা ছিল দেশ কিন্ত পট পরিবর্তনের পরেও থামছেনা সরকারি-বেসরকারী দপ্তরগুলোতে এ রকম দালাল চক্র কিভাবে সক্রিয় থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন সকল জনগণের। উজিরপুর সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে দালালচক্রের মূল হোতা দুই জাহাঙ্গীর। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেটেলমেন্ট অফিসারের পাশে দালাল জাহাঙ্গীর বসে সেখানকার উপস্থিত সকল সেবাগ্রহীতাদের থেকে দুই থেকে চারশো টাকা তুলে দিচ্ছে।
কি কারণে সেবাগ্রহীতাদের থেকে এ টাকা নেয়া হচ্ছে তা নিয়ে ভয়ে মুখ খোলেননি কেউই। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে যে, দালাল জাহাঙ্গীর এক সময় আওয়ামী লীগের দোসর হেমায়েত উদ্দিন হিমুর ছত্রছায়ায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। বর্তমানে সে নব্য বিএনপি সেজে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন ঘুষদালালীর অপকর্ম চালাচ্ছে। সাংবাদিকরা যখন সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চায়, বিষয়টি লক্ষ্য করে এই দালাল জাহাঙ্গীর। সে এক পর্যায় সাংবাদিকদের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি ২০০ টাকায় সাংবাদিক কেনা যায় বলে কটাক্ষ করে। পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে আবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন “সেবাগ্রহিতারা খুশি হয়ে চা নাস্তা খেতে তাকে টাকা দেয়”।
জনমনে এ ঘটনাটি উদ্বেগ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। একজন সরকারী কর্মকর্তার মুখে নাস্তার জন্য টাকা নেয়ার কথাটি যৌক্তিক তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন! এছাড়াও ঘুষবানিজ্যের ব্যাপারটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো কেনো নীরব ভূমিকা পালন করছে তা অজানা রয়ে গেছে। উজিরপুর বাসীদের এখন একটাই দাবী সরকারী দপ্তরগুলোতে ঘুষ বানিজ্য ও দালালদের অপকর্মের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যেনো হস্তক্ষেপ করেন। সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা’কে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।