Dhaka 6:26 am, Sunday, 23 March 2025

ক্যান্সার চিকিৎসার অতীত ও বর্তমান

উনিশ শতকের শুরুতে ক্যান্সার

দুই হাজার বছর আগেও ক্যান্সারের চিকিৎসা ছিল আক্রান্ত স্থান পুড়িয়ে দেওয়া, জোঁক দিয়ে রক্ত চোষানো বা ঝাড়ফুঁক, তাবিজ ও তন্ত্রমন্ত্র। বলা যায়, তখন ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হতো রোগীকে। কর্কট রোগ ওরফে ক্যান্সার কী, তা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের। রোগটির উৎপত্তি কিভাবে, শরীরে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যম ও এর বহুমুখী আচরণ লুকোচুরি খেলেছে বিজ্ঞানের সঙ্গে।

রেডিওথেরাপি চিকিৎসার অভূতপূর্ব উন্নতির পাশাপাশি গত পঞ্চাশ বছরে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির উন্নতি ক্যান্সার চিকিৎসার ফলাফলে অনুকূল প্রভাব ফেলেছে। তবে এসব চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করা হয়।বাংলাদেশেও ক্রমেই বাড়ছে ক্যান্সারের প্রকোপ। জনগণের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সংক্রমণজনিত রোগ।তাই প্রথম দশটি মৃত্যুর কারণের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ক্যান্সার। দেশের সামগ্রিক ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা যুগোপযোগী হচ্ছে, তবে এটি সময়সাপেক্ষ। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত নিশ্চিত করা জরুরি। তাই সঙ্কোচ না করে সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।চিকিৎসার একটি বড় নিয়ামক চিকিৎসা খরচ, যার পুরোটাই নির্ভর করছে রোগীর আর্থিক সামর্থ্যের ওপর। পারিবারিক সহায়তা এখনো অপ্রতুল, বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে। মাঝপথে অর্থাভাব দেখা দিলে রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসার খরচ জোগাতে বহু পরিবার হয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত। ক্যান্সার রোগীদের জন্য সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ পরীক্ষার জন্যও ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ক্যান্সার চিকিৎসার অতীত ও বর্তমান

Update Time : 03:05:51 pm, Saturday, 22 March 2025
দুই হাজার বছর আগেও ক্যান্সারের চিকিৎসা ছিল আক্রান্ত স্থান পুড়িয়ে দেওয়া, জোঁক দিয়ে রক্ত চোষানো বা ঝাড়ফুঁক, তাবিজ ও তন্ত্রমন্ত্র। বলা যায়, তখন ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হতো রোগীকে। কর্কট রোগ ওরফে ক্যান্সার কী, তা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের। রোগটির উৎপত্তি কিভাবে, শরীরে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যম ও এর বহুমুখী আচরণ লুকোচুরি খেলেছে বিজ্ঞানের সঙ্গে।

রেডিওথেরাপি চিকিৎসার অভূতপূর্ব উন্নতির পাশাপাশি গত পঞ্চাশ বছরে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির উন্নতি ক্যান্সার চিকিৎসার ফলাফলে অনুকূল প্রভাব ফেলেছে। তবে এসব চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও বিভিন্ন স্তরে প্রয়োগ করা হয়।বাংলাদেশেও ক্রমেই বাড়ছে ক্যান্সারের প্রকোপ। জনগণের আয়ুষ্কাল বেড়েছে, নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সংক্রমণজনিত রোগ।তাই প্রথম দশটি মৃত্যুর কারণের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ক্যান্সার। দেশের সামগ্রিক ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা যুগোপযোগী হচ্ছে, তবে এটি সময়সাপেক্ষ। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত নিশ্চিত করা জরুরি। তাই সঙ্কোচ না করে সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।চিকিৎসার একটি বড় নিয়ামক চিকিৎসা খরচ, যার পুরোটাই নির্ভর করছে রোগীর আর্থিক সামর্থ্যের ওপর। পারিবারিক সহায়তা এখনো অপ্রতুল, বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে। মাঝপথে অর্থাভাব দেখা দিলে রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসার খরচ জোগাতে বহু পরিবার হয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত। ক্যান্সার রোগীদের জন্য সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ পরীক্ষার জন্যও ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।