
কুমিল্লায় চিকিৎসক ছাড়াই ব্লাড ট্রান্সফিউশনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে হাজির। নেই কোন চিকিৎসক এবং নেই কোন বেড স্থাপনের অনুমোদন। তবুও ঝুঁকি নিয়েই ব্লাড ট্রান্সফিউশন করছিল একটি প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার সিটি ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। এসময় ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বেড সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
অভিযানটি পরিচালনা করছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) কানিজ ফাতেমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল কাইযুম ও জাকির হোসেন।
মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান, আমরা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ঐ প্রতিষ্ঠানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি এক শিশুর ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হচ্ছিল। পাশে বসা শিশুর মা। তিনি জানান কোন চিকিৎসক ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে ব্লাড ব্যাগ ঝুলিয়ে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টারের নামে অবৈধভাবে বেড রেখে রক্ত নেয়া ও দেয়ার কাজ চলছিল। আমরা তাৎক্ষণিক ওই প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করি। ১০ হাজার টাকা পরিমানা করে করে বেড সরানোর জন্য বলি।
আরও পড়ুন:ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা আছে : রিজভী
এছাড়া একই দিন আমরা সদর হাসপাতাল রোডের গ্রামীণ মেডিক্যাল সেন্টার পরিদর্শন করি। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের অপরিচ্ছন্ন ল্যাব ও বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
2 thoughts on “কুমিল্লায় ব্লাড ট্রান্সফিউশনের সময় হাজির ম্যাজিস্ট্রেট”