
ভারতে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। এদিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে করোনার চারটি নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বেহল জানিয়েছেন, বর্তমানে ছড়িয়ে পড়া সাব-ভেরিয়েন্টগুলো হলো—
-
LF.7 সিরিজ
-
XFG সিরিজ
-
JN.1 সিরিজ
-
NB.1.8.1 সিরিজ
এই ভেরিয়েন্টগুলো মূলত ওমিক্রন প্রজাতির অন্তর্গত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুরুতর রোগ সৃষ্টি করছে না। ড. বেহল জানান, সংক্রমণ প্রথমে দক্ষিণ ভারতে শুরু হলেও এখন পশ্চিম ও উত্তর ভারতেও ছড়াতে শুরু করেছে।
ভারতের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে):
-
কেরালা: ৪৩০টি নতুন সংক্রমণ
-
মহারাষ্ট্র: ২০৯টি
-
দিল্লি: ১০৪টি
-
মোট সক্রিয় সংক্রমণ: ১,০০৯
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও গুজরাটেও নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ড. বেহল বলেন, “পরিস্থিতি গুরুতর নয়, তবে আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। সাধারণ মানুষের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।”
বর্তমানে সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও রোগীদের অধিকাংশেরই উপসর্গ হালকা এবং তারা ঘরোয়া আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাই এখনই বিশেষ কোনো বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ড. বেহল জানিয়েছেন, আইসিএমআরের ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেইলেন্স প্রোগ্রাম (IDSP)-এর আওতায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ চালানো হচ্ছে। এছাড়া জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ভাইরাসের বিবর্তন ও বিস্তার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা বজায় রাখাই হবে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।