Dhaka 9:11 am, Sunday, 16 March 2025

বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে যা বললেন তাওহিদ হৃদয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো হারানোর অপূর্ব সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ডুবল টাইগারদের। তবে এ ম্যাচে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা চলছে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষেই গেছে। এরপর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। গতকাল নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘আম্পায়ারের ভুলে’৪টি রান পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছেও ৪ রানেই। বাংলাদেশের দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে রাখঢাক না করেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনাটি এটি। পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। এর আগেই অবশ্য এলবিডবøæর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত করেনি। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর বল ডেড হয়ে যাওয়ায় লেগ বাই হিসেবে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:আইসিসির স্বীকৃতি পেল মেজর লিগ ক্রিকেট

ম্যাচ শেষে এ নিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের ভাষ্য, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’ হৃদয় যোগ করেন, ‘নিয়ম তো, আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ওই ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়ম আমাদের হাত নেই।’ রিয়াদকে দেওয়া ওই সিদ্ধান্তের পরের ওভারে হৃদয়ের আউটের সিদ্ধান্তটিও হতে পারত অন্যরকম। তাকে এলবিডবøæ দেওয়া বলটিও আঘাত করত লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের দিকে বেলে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ার্স কলের কারণে কপাল পোড়ে হৃদয়ের। ফলে তার টাইগারদের হয়ে তার করা সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস সেখানেই থেমে যায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে যা বললেন তাওহিদ হৃদয়

Update Time : 12:13:55 pm, Tuesday, 11 June 2024

দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো হারানোর অপূর্ব সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ডুবল টাইগারদের। তবে এ ম্যাচে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা চলছে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষেই গেছে। এরপর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। গতকাল নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘আম্পায়ারের ভুলে’৪টি রান পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছেও ৪ রানেই। বাংলাদেশের দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে রাখঢাক না করেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনাটি এটি। পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। এর আগেই অবশ্য এলবিডবøæর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত করেনি। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর বল ডেড হয়ে যাওয়ায় লেগ বাই হিসেবে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:আইসিসির স্বীকৃতি পেল মেজর লিগ ক্রিকেট

ম্যাচ শেষে এ নিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের ভাষ্য, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’ হৃদয় যোগ করেন, ‘নিয়ম তো, আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ওই ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়ম আমাদের হাত নেই।’ রিয়াদকে দেওয়া ওই সিদ্ধান্তের পরের ওভারে হৃদয়ের আউটের সিদ্ধান্তটিও হতে পারত অন্যরকম। তাকে এলবিডবøæ দেওয়া বলটিও আঘাত করত লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের দিকে বেলে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ার্স কলের কারণে কপাল পোড়ে হৃদয়ের। ফলে তার টাইগারদের হয়ে তার করা সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস সেখানেই থেমে যায়।