Dhaka 5:44 pm, Saturday, 15 March 2025

উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় আবাসিক হোটেলকে কেন্দ্র করে ফারুক,মিঠু ও মামুনের মাদক ও নারী সিন্ডিকেট ভয়াবহ

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:05:15 pm, Tuesday, 15 October 2024
  • 86 Time View

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন হাউজ বিল্ডিংয়ে উত্তরা সিটি গেষ্ট হাউজ ও হোটেল ওয়ান ষ্টার নামক দুটি অবস্থিত। অসাধু মালিকরা হোটেল ব্যবসার নামে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা। জানা গেছে স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পরই থানা পুলিশের সহযোগীতায় মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বৈরাচারী সকারের আমলে এসব হোটেল গড়ে ওঠে। বর্তমানের তারা সেই সব প্রতিষ্ঠান বিএনপি বা অন্যান্য দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে আসছে তাদের অবৈধ হোটেল বাণিজ্য। তবে হোটেল মালিক মিঠু ও ফারুকের হোয়াটসএ্যাপে দেখা মিলছে বিএনপির প্রতীক। অথচ স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার আগে ছিল আ.লীগের প্রতিক। কিন্তু এক্ষেত্রে হোটেল মালিক ফারুকের বিরুদ্ধে গাড়ী চুরি থেকে নারীপাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কিছ‚দিন আগে একটি ওয়ারেন্টভুক্ত মামলায় জেল খেটে আসেন তিনি। ইদানিং উত্তরা পশ্চিম থানাধীন হোটেল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার কোন পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। এতে করে পুলিশ এবং সমাজের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেন এলাকার জনসাধারন। তবে হোটেল তাদের রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্লাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে বলেন, আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি হোটেল দুটোতে রুম ভাড়ার জণ্য যাই এবং একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিব, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।

তবে হোটেল দুটির পরিবেশ দেখে মনে হলো এখানে মাদক আর নারী ছাড়া তেমন কোন সার্ভিস নেই বললে চলে। এভাবে রাতভর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পূর্বে আ.লীগের পরিচয় দিয়ে উত্তরা হাইজ বিল্ডিংয়ে উত্তরা গেষ্ট হাউজের মালিক মিঠু এবং ফারুখ ও মামুন মাদকহসহ দেহ ব্যবসা বাণিজ্যে কামিয়েছেন কারি কারি টাকা।

এসব ব্যবসা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও। গোটা কয়েক পতিতা ব্যবসায়ীরা মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন পতিতা বাণিজ্য। এদিকে নষ্ট হচ্ছে তরুণ যুব সমাজ অল্প বয়সের তরুণীদের কে দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে দেহব্যবসা। উক্ত হোটেল ব্যবসায়ীদেরকে অনেকে ধারনা করছে তারা জঙ্গিবাদের সদস্য হতে পারে। তার কারন এসব হোটেলগুলোতে জঙ্গিবাদরা তাদের সাথে সমন্নয় করে যথারিতি হোটেলেগুলো তাদের অর্থে পরিচালনা করছে।

তবে মিঠু, ফারুখ ও মামুন বলেন উত্তরা পশ্চিম থানার নতুন ওসিকে এসব ব্যবসার জণ্য প্রতিমাসে আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হয়। আরতো বাকিরা আছেই যেমন পাড়া মহল্লা ও বিএনপির নেতা কর্মী এবং ছাত্র সমাজ। তবে মিঠু বলেন, আর যদি একটি নিউজ প্রকাশ হয় তাহলে আপনার অফিসে গিয়ে আপনাকে দেখে নিব এবং ভাংচুর করবো। দেখি কে ঠেকায়। এখানে ব্যবসা করতে বসছি কোটি কোটি টাকা নিয়ে।

এরা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদেরকে সংগ্রহ করে থাকে। তবে মিঠু-ফারুখ ও মামুন বলেন, আমাদের সরকার পতন হওয়ার পর বিএনপির লোকজন আমাদের গেষ্ট হাউজ এবং হোটেল ওয়ান ষ্টার ভাংচুর করেছে। তার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। যদি কোনদিন আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে তাদেরকে খেলা দেখাবো।

অভিযোগ রয়েছে-প্রভাবশালী মহল ও কতিপয় অসাধু পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আবাসিক হোটেলগুলোতে চলে এসব কর্মকান্ড । স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক দিন ধরে উক্ত হোটেল ও গেষ্ট হাউজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোরীদের এনে অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে একটি অপরাধী চক্র । প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে হোটেল ম্যানেজার ও মালিকরা এসব অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় আবাসিক হোটেলকে কেন্দ্র করে ফারুক,মিঠু ও মামুনের মাদক ও নারী সিন্ডিকেট ভয়াবহ

Update Time : 09:05:15 pm, Tuesday, 15 October 2024

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন হাউজ বিল্ডিংয়ে উত্তরা সিটি গেষ্ট হাউজ ও হোটেল ওয়ান ষ্টার নামক দুটি অবস্থিত। অসাধু মালিকরা হোটেল ব্যবসার নামে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা। জানা গেছে স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পরই থানা পুলিশের সহযোগীতায় মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বৈরাচারী সকারের আমলে এসব হোটেল গড়ে ওঠে। বর্তমানের তারা সেই সব প্রতিষ্ঠান বিএনপি বা অন্যান্য দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে আসছে তাদের অবৈধ হোটেল বাণিজ্য। তবে হোটেল মালিক মিঠু ও ফারুকের হোয়াটসএ্যাপে দেখা মিলছে বিএনপির প্রতীক। অথচ স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার আগে ছিল আ.লীগের প্রতিক। কিন্তু এক্ষেত্রে হোটেল মালিক ফারুকের বিরুদ্ধে গাড়ী চুরি থেকে নারীপাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কিছ‚দিন আগে একটি ওয়ারেন্টভুক্ত মামলায় জেল খেটে আসেন তিনি। ইদানিং উত্তরা পশ্চিম থানাধীন হোটেল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার কোন পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। এতে করে পুলিশ এবং সমাজের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেন এলাকার জনসাধারন। তবে হোটেল তাদের রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্লাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে বলেন, আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি হোটেল দুটোতে রুম ভাড়ার জণ্য যাই এবং একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিব, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।

তবে হোটেল দুটির পরিবেশ দেখে মনে হলো এখানে মাদক আর নারী ছাড়া তেমন কোন সার্ভিস নেই বললে চলে। এভাবে রাতভর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পূর্বে আ.লীগের পরিচয় দিয়ে উত্তরা হাইজ বিল্ডিংয়ে উত্তরা গেষ্ট হাউজের মালিক মিঠু এবং ফারুখ ও মামুন মাদকহসহ দেহ ব্যবসা বাণিজ্যে কামিয়েছেন কারি কারি টাকা।

এসব ব্যবসা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও। গোটা কয়েক পতিতা ব্যবসায়ীরা মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন পতিতা বাণিজ্য। এদিকে নষ্ট হচ্ছে তরুণ যুব সমাজ অল্প বয়সের তরুণীদের কে দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে দেহব্যবসা। উক্ত হোটেল ব্যবসায়ীদেরকে অনেকে ধারনা করছে তারা জঙ্গিবাদের সদস্য হতে পারে। তার কারন এসব হোটেলগুলোতে জঙ্গিবাদরা তাদের সাথে সমন্নয় করে যথারিতি হোটেলেগুলো তাদের অর্থে পরিচালনা করছে।

তবে মিঠু, ফারুখ ও মামুন বলেন উত্তরা পশ্চিম থানার নতুন ওসিকে এসব ব্যবসার জণ্য প্রতিমাসে আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হয়। আরতো বাকিরা আছেই যেমন পাড়া মহল্লা ও বিএনপির নেতা কর্মী এবং ছাত্র সমাজ। তবে মিঠু বলেন, আর যদি একটি নিউজ প্রকাশ হয় তাহলে আপনার অফিসে গিয়ে আপনাকে দেখে নিব এবং ভাংচুর করবো। দেখি কে ঠেকায়। এখানে ব্যবসা করতে বসছি কোটি কোটি টাকা নিয়ে।

এরা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদেরকে সংগ্রহ করে থাকে। তবে মিঠু-ফারুখ ও মামুন বলেন, আমাদের সরকার পতন হওয়ার পর বিএনপির লোকজন আমাদের গেষ্ট হাউজ এবং হোটেল ওয়ান ষ্টার ভাংচুর করেছে। তার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। যদি কোনদিন আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে তাদেরকে খেলা দেখাবো।

অভিযোগ রয়েছে-প্রভাবশালী মহল ও কতিপয় অসাধু পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আবাসিক হোটেলগুলোতে চলে এসব কর্মকান্ড । স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক দিন ধরে উক্ত হোটেল ও গেষ্ট হাউজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোরীদের এনে অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে একটি অপরাধী চক্র । প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে হোটেল ম্যানেজার ও মালিকরা এসব অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছে।