Dhaka 6:09 am, Friday, 9 May 2025

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের অনুরোধে এই বৈঠক ডাকা হয়। এতে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য অংশ নেন। যদিও বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

বৈঠকে অংশ নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতি উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পেহেলগামের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানকে সামরিক সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভুল করবেন না, সামরিক সংঘর্ষ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ উভয় দেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”

পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে জানান, পাকিস্তান তাদের কূটনৈতিক লক্ষ্য অনেকাংশে পূরণ হয়েছে বলে মনে করছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যে মনোযোগ ও সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

কাশ্মীর সংকটকে দুই দেশের মধ্যে ৭০ বছরের পুরোনো বিরোধ হিসেবে উল্লেখ করে ইফতিখার বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক একতরফা পদক্ষেপগুলো নিয়ে পাকিস্তান পরিষদে জোরালোভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রস্তুতির কথা জানান।

ইফতিখার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য কাশ্মীর সংকটের টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক সমাধান প্রয়োজন। তাঁর ভাষায়, “কাশ্মীরি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই বিরোধের সমাধান সম্ভব নয়।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

Update Time : 03:58:18 pm, Tuesday, 6 May 2025

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের অনুরোধে এই বৈঠক ডাকা হয়। এতে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য অংশ নেন। যদিও বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

বৈঠকে অংশ নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতি উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান এবং পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পেহেলগামের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানকে সামরিক সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভুল করবেন না, সামরিক সংঘর্ষ কোনো সমাধান নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ উভয় দেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”

পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে জানান, পাকিস্তান তাদের কূটনৈতিক লক্ষ্য অনেকাংশে পূরণ হয়েছে বলে মনে করছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যে মনোযোগ ও সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

কাশ্মীর সংকটকে দুই দেশের মধ্যে ৭০ বছরের পুরোনো বিরোধ হিসেবে উল্লেখ করে ইফতিখার বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক একতরফা পদক্ষেপগুলো নিয়ে পাকিস্তান পরিষদে জোরালোভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রস্তুতির কথা জানান।

ইফতিখার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য কাশ্মীর সংকটের টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক সমাধান প্রয়োজন। তাঁর ভাষায়, “কাশ্মীরি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই বিরোধের সমাধান সম্ভব নয়।”