Dhaka 11:13 pm, Friday, 23 May 2025

মেহেরপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী।

মেহেরপুরে ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কমারুল হাসানসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সদস্য সচিবের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় আহত কামরুল হাসান গ্রুপের ৬ নেতাকর্মী।আহতরা হলেন- মিজান মেনন, চঞ্চল, মুকুল, শাকিল, শহিদুল, মিন্টু, সানোয়ার হোসেন। হামলার ব্যাপারে বিএনপির এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে দোষারোপ করছেন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৩ মে)  সকাল ১১ টার দিকে আমঝুপি গ্রামের গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমঝুপি ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাড়ে ১১ টার দিকে সদস্য সচিবের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নিতে মেহেরপুর শহর থেকে রওনা দেন। আমঝুপি বাজারের সড়ক দিয়ে গন্ধরাজপুরে যেতে চাইলে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে বাধা প্রদান করেন। ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দল। এক
পর্যায় তাদের ভিন্ন পথে দিয়ে যাওয়ার কথা বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ওই গাড়িবহরটি আমঝুপি সামিউল টাওয়ারের সামনের গলি দিয়ে গন্ধরাজপুরে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এদিকে, হামলাকালীদের নিবৃত্ত করার সময় সাইফুল ইসলাম পক্ষের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের ছাড়িয়ে নিতে সাইফুল ইসমাম পক্ষের নেতাকর্মীরা আমঝুপি বাজারে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক সড়ক অবরোধ করে। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে যানবাহন চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই তিন নেতাকর্মীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় তাদেরকে সড়ক থেকে তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পাল্টা অভিযোগ করে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, বেআইনিভাবে তারা আমঝুপি ইউনিয়নের সম্মেলন করছে। আমরা বাধা প্রদান করেছি। তবে সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেজবাহ উদ্দীন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মেহেরপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

Update Time : 05:10:14 pm, Friday, 23 May 2025

মেহেরপুরে ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কমারুল হাসানসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সদস্য সচিবের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় আহত কামরুল হাসান গ্রুপের ৬ নেতাকর্মী।আহতরা হলেন- মিজান মেনন, চঞ্চল, মুকুল, শাকিল, শহিদুল, মিন্টু, সানোয়ার হোসেন। হামলার ব্যাপারে বিএনপির এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে দোষারোপ করছেন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৩ মে)  সকাল ১১ টার দিকে আমঝুপি গ্রামের গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমঝুপি ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাড়ে ১১ টার দিকে সদস্য সচিবের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নিতে মেহেরপুর শহর থেকে রওনা দেন। আমঝুপি বাজারের সড়ক দিয়ে গন্ধরাজপুরে যেতে চাইলে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে বাধা প্রদান করেন। ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দল। এক
পর্যায় তাদের ভিন্ন পথে দিয়ে যাওয়ার কথা বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ওই গাড়িবহরটি আমঝুপি সামিউল টাওয়ারের সামনের গলি দিয়ে গন্ধরাজপুরে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এদিকে, হামলাকালীদের নিবৃত্ত করার সময় সাইফুল ইসলাম পক্ষের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের ছাড়িয়ে নিতে সাইফুল ইসমাম পক্ষের নেতাকর্মীরা আমঝুপি বাজারে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক সড়ক অবরোধ করে। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে যানবাহন চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই তিন নেতাকর্মীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় তাদেরকে সড়ক থেকে তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পাল্টা অভিযোগ করে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, বেআইনিভাবে তারা আমঝুপি ইউনিয়নের সম্মেলন করছে। আমরা বাধা প্রদান করেছি। তবে সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেজবাহ উদ্দীন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।