
সিঙ্গাপুর থেকে প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এসেছেন ইন্দোনেশিয়ান এক তরুণী। গতকাল সোমবার (২৬ মে) সকালে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে যুবকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন দু’জনে। এদিকে, সিঙ্গাপুর থেকে যুবতি আসার খবরে তাকে দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।জানা গেছে, বাংলাদেশে আসা ওই তরুণীর নাম জুমাত আরা (২৫)। তিনি ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা। জুমাত সিঙ্গাপুর একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জন্মলগ্ন থেকেই তার পরিবার ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। জুমাত আরা বাংলাদেশে আসার পর মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে, বর শোভন (৩৭) আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলামের ছেলে। সে দীর্ঘ ১৩ বছর সিঙ্গাপুরের একটি কনকট্রাকশন কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল।
এ ব্যাপারে শোভন জানান, সোমবার বাংলাদেশে আসেন জুমাত। সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে আমার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি থেকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর সিঙ্গাপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করছিলাম। সেখানে চাকরির সুবাদে ফেসবুকে পরিচয় হয় জুমাতের সঙ্গে। পরিচয়ের প্রথমে জানতে পারি, তারা পারিবারিকভাবে ইন্দোনেশীয়ার নাগরিক। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ফেসবুকে টানা ৮ বছর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতবছর ছুটিতে বাড়িতে আসলে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে দীর্ঘদিন অসুস্থতাজনিত বাড়িতে অবস্থান করি। এখন দু’জনের ইচ্ছায় আমরা বিয়ে করেছি। কনে জুমাত আরা জানান, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ। এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। শোভন পুরুষ হিসেবে অসাধারণ। সে অনেক কেয়ারিং একটা মানুষ। আমি ধন্য যে তাকে পেয়েছি।
এ বিষয়ে শোভনের বাবা আনারুল ইসলাম জানান, জুমাত সিঙ্গাপুরে থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যাবে। সেখানে গিয়ে সে দেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে। এ সময় তিনি তাদের দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।