
ভারতের হরিয়ানায় প্রাইভেটকারের ভেতরে বিষপানে তিন শিশুসহ সাতজনের আত্মহত্যার ঘটনার পেছনের কারণ জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আর্থিক অনটনের কারণে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারা।পরিবারটির কর্ণধার প্রবীণ মিত্তল প্রবল ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তিনি তার চাচাতো ভাইকে বলেছিলেন, তার প্রায় ২০ কোটি রুপি ঋণ রয়েছে।যদিও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যে দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট পেয়েছে, সেখানেও তাদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অত্যধিক ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রবীণ মিত্তল। তবে কত পরিমাণে ঋণ ছিল সেটি জানা গেলে তার চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে।
বাদ্দিতে একটি স্ক্র্যাপ কারখানা স্থাপন করেছিলেন। ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে পরে ব্যাংক সেটি জব্দ করে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মিত্তল পঞ্চকুলা ছেড়ে দেরাদুনে চলে আসেন। সেখানে তিনি প্রায় ছয় বছর ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগের বাইরে ছিলেন
পরে তিনি পাঞ্জাবের খারার এবং তারপর হরিয়ানার পিঞ্জোরে চলে যান। সেখানে তিনি তার শ্বশুরের সঙ্গে থাকতেন এবং প্রায় এক মাস আগে আবারও পঞ্চকুলায় ফিরে আসেন। এখানে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই মিত্তলের কাছে গিয়ে তার অবস্থান জানতে চাইলাম। সে বলল, পরিবারটি বাগেশ্বর ধাম থেকে ফিরছিল। যেহেতু তারা কোনো হোটেল খুঁজে পায়নি, তাই তারা গাড়িতেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ লোকটি গাড়ির ভেতরে উঁকি মারল এবং যা দেখে তা ভয়াবহ ছিল। ছয়টি মৃতদেহ এবং একটি দুর্গন্ধযুক্ত গাড়ি।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানায়, ‘আমি ছয়জনকে শুয়ে থাকতে দেখেছি। তারা একে অপরের ওপর বমি করছিল। গাড়ি থেকে বের হচ্ছিল দুর্গন্ধ। আমি লোকটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কী? সে তখন জানালো যে পরিবারটি আত্মহত্যা করেছে। সেও আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে। লোকটি দাবি করেছে যে সে বিশাল ঋণের বোঝায় ডুবে আছে।’
পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সকলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে পঞ্চকুলা পুলিশ।