Dhaka 8:46 am, Saturday, 15 March 2025

নগদ টাকা ছাপিয়েছে রাষ্ট্রের সহায়তায়

ভয়াবহ ডিজিটাল জালিয়াতি করেছে।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ভয়াবহ ডিজিটাল জালিয়াতি করেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে নগদ টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে। এভাবে চক্রটি প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া নানাভাবে লোপাট করেছে আরও ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। এসব কারণে যে আর্থিক ঘাটতি হয়েছে, এর দায় চাপানো হয়েছে ডাক বিভাগের ওপর। এ জালিয়াতিতে নগদকে প্রত্যক্ষভাবে উৎসাহিত করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি এর সুবিধা ভোগ করেছেন। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইটিসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেআইনি ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মামলা করেছিল ২০০১ সালের দিকে। ফলে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই সরাসরি মামলা করল। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নগদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছে।। অনুমোদন ছাড়াই যেসব পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এসব জালিয়াতির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে, এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য নগদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে লাইসেন্স চেয়ে পায়নি। পরে ডাক বিভাগের আইন সংশোধন করে তারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই। পরে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং করার সাময়িক লাইসেন্স নেয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

নগদ টাকা ছাপিয়েছে রাষ্ট্রের সহায়তায়

Update Time : 10:23:26 am, Tuesday, 4 March 2025

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ভয়াবহ ডিজিটাল জালিয়াতি করেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে নগদ টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে। এভাবে চক্রটি প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া নানাভাবে লোপাট করেছে আরও ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। এসব কারণে যে আর্থিক ঘাটতি হয়েছে, এর দায় চাপানো হয়েছে ডাক বিভাগের ওপর। এ জালিয়াতিতে নগদকে প্রত্যক্ষভাবে উৎসাহিত করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি এর সুবিধা ভোগ করেছেন। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইটিসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেআইনি ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মামলা করেছিল ২০০১ সালের দিকে। ফলে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই সরাসরি মামলা করল। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নগদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছে।। অনুমোদন ছাড়াই যেসব পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এসব জালিয়াতির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে, এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য নগদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে লাইসেন্স চেয়ে পায়নি। পরে ডাক বিভাগের আইন সংশোধন করে তারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই। পরে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং করার সাময়িক লাইসেন্স নেয়।