Dhaka 2:37 pm, Sunday, 23 March 2025

নিজের দোষ ঢাকতে নারীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজের দোষ ঢাকতে

এ যেন ‘লোম বাছতে কম্বল উজাড়’। তিনি পেশায় চিকিৎসক, মানুষকে সেবা দেয়াই যার কাজ। অথচ চেম্বারে রোগীকে যৌন হয়রানি ও বান্ধবীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় খেটেছেন জেল। একবার নয়, দুদফা কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। তাতেও সুমতি হয়নি। বলা হচ্ছে, কুমিল্লার এক চিকিৎসক জোবায়ের আহমেদের কথা। এবার তিনি নিজেকে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে উল্টো মামলা করেছেন সেইসব নারীদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২ মার্চ এক নারী ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ডেপুটি কমিশনার মো. নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন চিকিৎসক জোবায়ের আহমেদ। এরপর পর্নোগ্রাফি আইনে ওই নারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি।

ওই নারী যোগাযোগ করে ডা. জোবায়ের সম্পর্কে করেন পাল্টা অভিযোগ।অভিযোগকারী নারী বলেন, ‘জোবায়েরের সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তাই আমার ওপর ক্ষোভ রয়েছে তার। তাই আমাকে হয়রানি করছে। আমি আইনি পক্রিয়ায় আছি।’ এদিকে, ডা. জোবায়েরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা পরকীয়া প্রেমিকাও জানান নিজের অসহায়ত্বের কথা।
 
ডা. জোবায়েরের সাবেক স্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পর্কে ঝামেলা অনেক আগে থেকে চলছিল। মেয়েঘটিত কারণেই ঝামেলা ছিল। সবশেষ যে কাহিনিটা সে করেছিল, সেটা অনেক বেশি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।এদিকে একের পর এক জিডি, কয়েকটি মামলা, চেম্বারে নারী রোগীকে যৌন হয়রানি, প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়াসহ সব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন ডা. জোবায়ের।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

নিজের দোষ ঢাকতে নারীর বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : 11:30:40 am, Saturday, 22 March 2025

এ যেন ‘লোম বাছতে কম্বল উজাড়’। তিনি পেশায় চিকিৎসক, মানুষকে সেবা দেয়াই যার কাজ। অথচ চেম্বারে রোগীকে যৌন হয়রানি ও বান্ধবীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় খেটেছেন জেল। একবার নয়, দুদফা কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। তাতেও সুমতি হয়নি। বলা হচ্ছে, কুমিল্লার এক চিকিৎসক জোবায়ের আহমেদের কথা। এবার তিনি নিজেকে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে উল্টো মামলা করেছেন সেইসব নারীদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকেও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২ মার্চ এক নারী ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ডেপুটি কমিশনার মো. নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন চিকিৎসক জোবায়ের আহমেদ। এরপর পর্নোগ্রাফি আইনে ওই নারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি।

ওই নারী যোগাযোগ করে ডা. জোবায়ের সম্পর্কে করেন পাল্টা অভিযোগ।অভিযোগকারী নারী বলেন, ‘জোবায়েরের সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তাই আমার ওপর ক্ষোভ রয়েছে তার। তাই আমাকে হয়রানি করছে। আমি আইনি পক্রিয়ায় আছি।’ এদিকে, ডা. জোবায়েরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা পরকীয়া প্রেমিকাও জানান নিজের অসহায়ত্বের কথা।
 
ডা. জোবায়েরের সাবেক স্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পর্কে ঝামেলা অনেক আগে থেকে চলছিল। মেয়েঘটিত কারণেই ঝামেলা ছিল। সবশেষ যে কাহিনিটা সে করেছিল, সেটা অনেক বেশি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।এদিকে একের পর এক জিডি, কয়েকটি মামলা, চেম্বারে নারী রোগীকে যৌন হয়রানি, প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়াসহ সব অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন ডা. জোবায়ের।