Dhaka 7:45 am, Monday, 28 April 2025

ডুবছে দেশের পুঁজিবাজার

দেশের পুঁজিবাজার

সরকার পরিবর্তনের পর বিনিয়োগকারীদের মনে আশা জাগলেও, সেই আশা এখন রূপ নিয়েছে চরম হতাশায়। টানা দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার ক্রমশই নিম্নমুখী। বিনিয়োগকারীরা এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চলা পতন থামছে না কোনো উদ্যোগেই। ভালো কোম্পানির শেয়ারও অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থাহীনতা, ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ও ফোর্সড সেলই এই পতনের মূল কারণ।

বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলো আমানতে দিচ্ছে ১১ শতাংশের ওপরে সুদ, আর ট্রেজারি রেটও ইতিহাসের উচ্চতম পর্যায়ে। ফলে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ সরে গিয়ে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সক্রিয় বিনিয়োগকারী ৩৩ লাখ থেকে কমে এখন মাত্র ১২ লাখে ঠেকেছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স টানা ৯ কর্মদিবসে ২৩৩ পয়েন্ট কমে এসেছে ৪ হাজারের ঘরে। বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, বিএসইসি নেতৃত্ব আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিছুটা উন্নতির পথে থাকলেও বিনিয়োগের ঘাটতি ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফেরেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও আস্থা পুনঃস্থাপন জরুরি বলে মনে করেন তাঁরা।

আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা না হলে, বিনিয়োগকারীদের এই নীরব কান্না থামবে না বলেই মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ডুবছে দেশের পুঁজিবাজার

Update Time : 09:47:35 am, Sunday, 27 April 2025

সরকার পরিবর্তনের পর বিনিয়োগকারীদের মনে আশা জাগলেও, সেই আশা এখন রূপ নিয়েছে চরম হতাশায়। টানা দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার ক্রমশই নিম্নমুখী। বিনিয়োগকারীরা এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চলা পতন থামছে না কোনো উদ্যোগেই। ভালো কোম্পানির শেয়ারও অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থাহীনতা, ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ও ফোর্সড সেলই এই পতনের মূল কারণ।

বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলো আমানতে দিচ্ছে ১১ শতাংশের ওপরে সুদ, আর ট্রেজারি রেটও ইতিহাসের উচ্চতম পর্যায়ে। ফলে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ সরে গিয়ে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সক্রিয় বিনিয়োগকারী ৩৩ লাখ থেকে কমে এখন মাত্র ১২ লাখে ঠেকেছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স টানা ৯ কর্মদিবসে ২৩৩ পয়েন্ট কমে এসেছে ৪ হাজারের ঘরে। বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, বিএসইসি নেতৃত্ব আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিছুটা উন্নতির পথে থাকলেও বিনিয়োগের ঘাটতি ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফেরেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ ও আস্থা পুনঃস্থাপন জরুরি বলে মনে করেন তাঁরা।

আস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা না হলে, বিনিয়োগকারীদের এই নীরব কান্না থামবে না বলেই মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।