
চাষি হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে অংশ নিয়েছে। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।জানা যায়, সাদা ফুলে কালো বীজ, স্বর্ণের মতো দাম। তাই কৃষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘কালো সোনা’।দূর থেকে মনে হয় ভিন্ন কোনো সাদা ফুলের বাগান। আর এই ফুলের মধ্যে লুকিয়ে আছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ চাষির পেঁয়াজের বীজের চাহিদা মেটায় ফরিদপুরের এই কালো সোনা। এ বছর ফরিদপুরে মাঠের পর মাঠ আবাদ হচ্ছে এ বীজের।
চাষিরা জানান, বছরের শেষ দিকে আবাদ শুরু হয়ে ফলন ওঠে নতুন বছরের এপ্রিল-মে মাসে। পরে এক বছর বীজ সংরক্ষণ করে পরের বছরে করা হয় আবাদ ও বিক্রি। তাঁরা জানান, সার, কীটনাশক ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর আগের তুলনায় খরচ বেশি হয়েছে। প্রতি একরে ছয় থেকে আট মণ বীজ পাওয়া সম্ভব। প্রতি মণ বীজ ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
পেঁয়াজ বীজ চাষি আকমল হোসেন বলেন, ‘আমি এ বছর ২০ একর জমিতে আবাদ করেছি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো হয়েছে ফলন। ক্ষেতে এখন পরাগায়ণের কাজ চলছে। সাধারণত মৌমাছি পরাগায়ণ করে থাকে, কিন্তু এ সময়ে মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ণ করা হচ্ছে। ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুরের নারী উদ্যোক্তা শাহিদা বেগম ২০০৪ সালে মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ শুরু করেন। দুই যুগের বেশি সময় ধরে এই বীজের আবাদ করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। এআইপি (অ্যাগ্রিকালচারাল ইমপর্টেন্ট পারসন) পুরস্কারসহ পেয়েছেন নানা পুরস্কার।