Dhaka 8:21 am, Sunday, 16 March 2025

বনের সরকারি জায়গায় উঠছে দালান

টাঙ্গাইলের  ঘাটাইলে ধলাপাড়া  বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দুসের যোগসাজসে  বনের জমিতে দালান নির্মাণ করছে সৌদি প্রবাসী কবির হোসেন। তার বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে। সে শহর গোপিনপুর দিঘালিয়া চালা গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
সরজমিন গেলে ভূক্তভোগী ও স্হানীয়রা জানায়, ঘাটাইল ধলাপাড়া সদর বন বিটের আওতাধীন  শহর গোপিনপুর (দিঘালিয়া চালা) আষারিয়া চালা,রামদেবপর, হেঙ্গার চালা এলাকায় বনের জমিতে ঘর নির্মাণের হিড়িক পরেছে। ঐ বন বিটের বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস তার আইনগত দায়িত্ব পালন না করে  নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠায় ঐ এলাকায় বন এখন নাই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে যা কিছু আছে তাও  বিট কর্মকর্তা  আঃ কদ্দুসের  ছলচাতুরীতে বন এখন ধ্বংসের শেষ  দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।   গত ৮,৯,১০ অক্টোবর ধলাপাড়া  সদর বন বিটের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস ধলাপাড়া কর্মরত অবস্থায় গত কিছু দিনের মধ্যে  বনের জমিতে নতুন ঘর উত্তোলন হয়েছে।
 এরই ধারাবাহিকতায় শহর গোপিনপুর দিঘালিয়া চালা গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে  সৌদি প্রবাসী কবির হোসেন বিট কর্মকর্তাকে হাত করে  বনের ৭৬২ দাগে প্রায় ৩০ শতক জমি দখল করে বে-আইনী ভাবে স্হায়ী পাকা দালান নির্মাণ করছে।   এসব বিষয়ে কবির হোসেন স্ত্রী  তাসলিমা আকতারের নিকট ঐ জমির দেখতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন আমাদের কোন কাগজ পত্র নাই,  এই জমি সরকারের এ কথা সত্যি, তবে আমার মতো আশে পাশে আরও অনেকে ইটের ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে।  তা ছাড়াও  আমরা এই জমি  দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহর গোপিনপুর গ্রামের এক ব্যবসায়ী (৫৫) ও ধলাপাড়া গ্রামের এক শিক্ষক (৫০) জানায়, বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস আর  যদি কিছু দিন ধলাপাড়া চাকরি করে তবে  এই এলাকায় বন বলতে কিছুই থাকবেনা। বনের জমির উপর কিভাবে পাকা দালান নির্মাণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে ধলাপাড়া সদর বন বিটের বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূর প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে  বলেন আমি ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে তাদের  বার বার  নিষেধ করেছি,কিন্তু তারা আমার কথা মানেন না। তাই মামলা দিয়ে দিয়েছি।
বনের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসের ফরেস্টার আব্দুর রউফ জানায় তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। আমি বিষয়টি জানলাম, রেঞ্জার স্যারকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অভিযোগের বিষয়ে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসের কর্ণধার রেঞ্জার ওয়াদুদ রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বনের সরকারি জায়গায় উঠছে দালান

Update Time : 03:58:44 pm, Thursday, 10 October 2024
টাঙ্গাইলের  ঘাটাইলে ধলাপাড়া  বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দুসের যোগসাজসে  বনের জমিতে দালান নির্মাণ করছে সৌদি প্রবাসী কবির হোসেন। তার বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে। সে শহর গোপিনপুর দিঘালিয়া চালা গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
সরজমিন গেলে ভূক্তভোগী ও স্হানীয়রা জানায়, ঘাটাইল ধলাপাড়া সদর বন বিটের আওতাধীন  শহর গোপিনপুর (দিঘালিয়া চালা) আষারিয়া চালা,রামদেবপর, হেঙ্গার চালা এলাকায় বনের জমিতে ঘর নির্মাণের হিড়িক পরেছে। ঐ বন বিটের বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস তার আইনগত দায়িত্ব পালন না করে  নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠায় ঐ এলাকায় বন এখন নাই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে যা কিছু আছে তাও  বিট কর্মকর্তা  আঃ কদ্দুসের  ছলচাতুরীতে বন এখন ধ্বংসের শেষ  দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।   গত ৮,৯,১০ অক্টোবর ধলাপাড়া  সদর বন বিটের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস ধলাপাড়া কর্মরত অবস্থায় গত কিছু দিনের মধ্যে  বনের জমিতে নতুন ঘর উত্তোলন হয়েছে।
 এরই ধারাবাহিকতায় শহর গোপিনপুর দিঘালিয়া চালা গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে  সৌদি প্রবাসী কবির হোসেন বিট কর্মকর্তাকে হাত করে  বনের ৭৬২ দাগে প্রায় ৩০ শতক জমি দখল করে বে-আইনী ভাবে স্হায়ী পাকা দালান নির্মাণ করছে।   এসব বিষয়ে কবির হোসেন স্ত্রী  তাসলিমা আকতারের নিকট ঐ জমির দেখতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন আমাদের কোন কাগজ পত্র নাই,  এই জমি সরকারের এ কথা সত্যি, তবে আমার মতো আশে পাশে আরও অনেকে ইটের ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে।  তা ছাড়াও  আমরা এই জমি  দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহর গোপিনপুর গ্রামের এক ব্যবসায়ী (৫৫) ও ধলাপাড়া গ্রামের এক শিক্ষক (৫০) জানায়, বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূস আর  যদি কিছু দিন ধলাপাড়া চাকরি করে তবে  এই এলাকায় বন বলতে কিছুই থাকবেনা। বনের জমির উপর কিভাবে পাকা দালান নির্মাণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে ধলাপাড়া সদর বন বিটের বিট কর্মকর্তা আঃ কদ্দূর প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে  বলেন আমি ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে তাদের  বার বার  নিষেধ করেছি,কিন্তু তারা আমার কথা মানেন না। তাই মামলা দিয়ে দিয়েছি।
বনের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসের ফরেস্টার আব্দুর রউফ জানায় তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। আমি বিষয়টি জানলাম, রেঞ্জার স্যারকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব অভিযোগের বিষয়ে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসের কর্ণধার রেঞ্জার ওয়াদুদ রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেয়া হবে।