Dhaka 4:39 am, Wednesday, 19 March 2025

যেভাবে চলছে বিএসইসি

যেভাবে চলছে বিএসইসি

পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি শুরু হওয়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) হঠাৎ করে গত ৫ই মার্চ চেয়ারম্যানসহ তিন কমিশনারকে টানা চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএসইসি’র কর্মকর্তারা। এ ছাড়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অশোভন আচরণ করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন কিছু কর্মকর্তা। তাদের পদত্যাগ করতে চাপ দেন বলে জানিয়েছেন কমিশনাররা। নজিরবিহীন সর্বাত্মক কর্মবিরতিও পালন করেন তারা। 

এ ঘটনায় ৬ই মার্চ বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরইমধ্যে একজন পরিচালক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর একজন নির্বাহী পরিচালক পদত্যাগ করেছেন।
বিএসইসিকাণ্ডের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিজ নিজ কাজে ফিরেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি স্থগিত করায় তারা কাজে ফিরেন। সেই দিন থেকে এখনো তারা অফিস করছেন। কর্মকর্তাদের ডেস্কে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছেন কর্মীরা। বিএসইসি’র এক কর্মকতা বলেন, আগে যা হবার হয়েছে, পিছনের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই।

সূত্র জানায়, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তিন কমিশনারকে তাদের বোর্ড রুমে দীর্ঘ চার ঘণ্টা আটকে রেখে নানাভাবে লাঞ্ছিত করেছেন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা পুরো বিএসইসি’র সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন। এমনকি বোর্ড রুমের এসি এবং লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে পুরো কমিশন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে বোর্ড রুমে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢুকে অকথ্য ভাষায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের গালি-গালাজ করেন। তারা বারবার এসি চালু করে কথা বলার দাবি জানালেও কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেননি। উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে লক্ষ্য করে এ সময় সাউন্ড বক্স ছুড়ে মারেন, টিস্যুর ভেতরে ময়লা ঢুকিয়ে ঢিল মারেন। এমনকি ডিম দিয়েও ঢিল দেন। সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তিন কমিশনার সঙ্গে আলাপকালে উপরোক্ত তথ্যগুলো অবহিত  করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

যেভাবে চলছে বিএসইসি

Update Time : 05:34:03 pm, Tuesday, 18 March 2025

পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি শুরু হওয়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) হঠাৎ করে গত ৫ই মার্চ চেয়ারম্যানসহ তিন কমিশনারকে টানা চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএসইসি’র কর্মকর্তারা। এ ছাড়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অশোভন আচরণ করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন কিছু কর্মকর্তা। তাদের পদত্যাগ করতে চাপ দেন বলে জানিয়েছেন কমিশনাররা। নজিরবিহীন সর্বাত্মক কর্মবিরতিও পালন করেন তারা। 

এ ঘটনায় ৬ই মার্চ বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরইমধ্যে একজন পরিচালক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর একজন নির্বাহী পরিচালক পদত্যাগ করেছেন।
বিএসইসিকাণ্ডের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিজ নিজ কাজে ফিরেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি স্থগিত করায় তারা কাজে ফিরেন। সেই দিন থেকে এখনো তারা অফিস করছেন। কর্মকর্তাদের ডেস্কে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছেন কর্মীরা। বিএসইসি’র এক কর্মকতা বলেন, আগে যা হবার হয়েছে, পিছনের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই।

সূত্র জানায়, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তিন কমিশনারকে তাদের বোর্ড রুমে দীর্ঘ চার ঘণ্টা আটকে রেখে নানাভাবে লাঞ্ছিত করেছেন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা পুরো বিএসইসি’র সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন। এমনকি বোর্ড রুমের এসি এবং লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে পুরো কমিশন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে বোর্ড রুমে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢুকে অকথ্য ভাষায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের গালি-গালাজ করেন। তারা বারবার এসি চালু করে কথা বলার দাবি জানালেও কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেননি। উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে লক্ষ্য করে এ সময় সাউন্ড বক্স ছুড়ে মারেন, টিস্যুর ভেতরে ময়লা ঢুকিয়ে ঢিল মারেন। এমনকি ডিম দিয়েও ঢিল দেন। সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তিন কমিশনার সঙ্গে আলাপকালে উপরোক্ত তথ্যগুলো অবহিত  করেন।