
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মেসার্স ইরা ব্রিকস নামক একটি ইটভাটা সম্পূর্ণরূপে অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রাকিব হোসেন। জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, কিছুদিন আগে উক্ত ভাটাকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি স্পষ্ট করেন, “আমরা কোনও প্রকার পরিবেশগত ছাড়পত্র দেইনি। যদি ইরা ব্রিকস ইটভাটাটি এখনো চালু থাকে, তবে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ।” অথচ মাঠপর্যায়ে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সাংবাদিকেরা হুমকির মুখে পড়ছেন। অভিযোগ উঠেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতির মাধ্যমে এই অবৈধ কার্যক্রমকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন।
মেসার্স ইরা ব্রিকস-এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই সাংবাদিকদের প্রতি হুমকি বেড়েই চলেছে। অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই রিপোর্টিং-এর তথ্য অভিযুক্তদের কাছে ফাঁস করে দেন। ফলস্বরূপ, তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, “নিউজ করে রোম ছিঁড়বে। ব্যবস্থা নিলে মুখ বন্ধ রাখতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিচ্ছি।
এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক সমাজ চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। একাধিক স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। মূলত সরকারি কর্মকর্তা ও দুর্বৃত্তদের যোগসাজশেই এই হামলার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
সংবাদ দিগন্ত এর অনুসন্ধানী টিম জানায়, সহকারী পরিচালক রাকিব হোসেনের সাথে হওয়া কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সংরক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সাংবাদিক মোঃ নিজাম উদ্দিন হারুন জানান, “এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো। হাইকোর্টে রিট দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কে বা কারা এর পেছনে আছে? কে তথ্য পাচার করে সাংবাদিকদের বিপদে ফেলছেন? এসব প্রশ্নের জবাব দাবি করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি, সেই সাথে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি।