
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চারটায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে আয়োজিত এই মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে তার বক্তব্যে গজারিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল করিম তারেক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে প্রথম থেকে যারা মারমুখী ভূমিকায় ছিলো সেই সমস্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশের নাম মামলায় আসে নাই। পক্ষান্তরে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি,ত্যাগী বিএনপি নেতকর্মীদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তি করানো এবং টাকার বিনিময়ে বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা যদি বিএনপি নেতাকর্মীও হয় আমরা তাদের বিচার চাই। কোন নিরপরাধ ব্যক্তি বিনা কারণে শাস্তি পাক আর অন্যায় করে কেউ টাকা দিয়ে পার পেয়ে যাক এটা আমরা কখনোই চাই না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
জেলা যুবদল আহ্বায় কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মারুক মিয়াজী বলেন, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অনেক বিএনপি নেতা কর্মীদের নাম মামলায় ঢুকানো হয়েছে। যে সমস্ত বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রথম থেকে কোটা আন্দোলনের সমর্থনে মাঠে ছিল তাদেরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলার অনেক আওয়ামী লীগ নেতা যারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে মারধর করেছে তাদের নাম মামলায় নেই।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ সদরের সুপার মার্কেটে এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মসূচিতে হামলায় ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়। ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দুটি মামলায় ১১২২জনকে আসামি করা হয়েছে।