
রাজধানীর গুলশান একটি ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে সবার পরিচিত এবং সেসব এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব আবাসিক হোটেল নামীদামী গাড়িতে করে কলগার্লসহ ভিআইপি সিআইপি সুন্দরী নারীদের চলে নীলাখেলা। সন্ধ্যা হলেই চোঁখে পরে নামীদামী গাড়িতে সুন্দরী রমনীদের আনাগোনা। জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২, রোড নং ৬৮/এ ১৫ নং বাড়িটিতে অবস্থিত গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল ও গেষ্ট হাউজ পার্ক ভিউ। এবিষয়ে ২৩/০১/২৪ ইং তারিখে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় তাদের সকল অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলে হোটেল মালিক তানভীর হোসেন বিএনপির পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে হোয়াটসএ্যাপে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকেন যাহা আমাদের নিকট প্রমানিত রয়েছে এবং তিনি বলেন, আপনারা কি চাঁদা চাচ্ছেন। তাহলে দেখা যায় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সেটি চাঁদা বলে দাবী করেন এবং বিভিন্ন রকমের ভয়ভিতি দেখান। তিনি আরো বলেন, আমার হোটেলে আসেন আমি দেখিয়ে দিব আপনারা কতবড় সাংবাদিক হইছেন। এমনকি মিথ্যা মামলার ও হুমকি দিয়েছেন। আবার তিনি হুমকি দেওয়ার সময় তার এক লোক তার নিকট ফোনটি কেরে নিয়ে বলেন, আপনি কিসের সাংবাদিক। আপনার বিষয়টি দেখছি এবং আপনি কত বড় সাংবাদিক দেখে নিব। অথচ স্বৈরাচারী আ.লীগের সরকারের সময় তারা নিজেরা আ.লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে আসছিলে। এখন ভোল পাল্টিয়ে আবার তারা নিজেরাই দ্বাবী করেন তারা ছাত্রদলের নেতা। তারমানে বিএনপি কি বলেছে, তাদের পরিচয় দিয়ে সমাজের অনৈতক কার্যকলাপসহ বিভিন্ন আপরাধ করে আসবে আর বলার কেই সাহস পাবেনা। এবষিয়ে সংবাদ দিগন্ত থেকে বিএনপির উচ্চ পর্যারে নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ হলে তারা বলেন, এধরনের অপরাধ যদি কেউ করে থাকে তাহলে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিন এবং বিষয়টি আমরা দেখছি। তবে এখানে একটি প্রশ্ন না তুললেই নয়, তারা বার বার বলছে চাঁদার কথা কিন্তু তারা কেন চাঁদা দেয় এবং এমন কি ধরনের ব্যবসা তারা চাঁদা বা মাসোহারা দিয়ে থাকেন কেন। তাই তাদের ব্যবসার বিষয়টি আগে ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। তানভীর আরো বলেন, শুধু তাই নয় আমরা থানা পুলিশকে ও চাঁদা বা মাসোহারা দিয়ে থাকি। অথচ তানভীরের কি ধরনের ব্যবসা তা একাধিক পত্র-পত্রিকায় বিগত আমলেও প্রকাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়। যার প্রমান সোসাল মিডিয়াতে রয়েছে। অথচ কোন আবাসিক এলাকায় হোটেলের কোন বৈধতা হয়না বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
উক্ত হোটেলটি অবস্থান করায় বিপাকে পরছে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রতিনিয়ত এসব কর্মকান্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে পড়ছে। বিলাশ বহুল হোটেটিতে রয়েছে অপরাধমূলক নানা আয়োজন। তাদের অর্থের কাছে যেন সব কিছুই হার মানায়। তবে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে উক্ত আবাসিক হোটেলটিতে।
এদিকে জানা গেছে, হোটেলটির মালিক স্বৈরাচারী আ.লীগের এক প্রভাবশালী নেতার এবং শেয়ার হিসেবে রয়েছে তানভীর ও ম্যানেজার হিসেবে দ্বয়ীত্ব পালন করছে সবুজ নামের এক নারী ও মাদক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত হোটেলটি নিয়ন্ত্রন করেন তানভীর। আরো জানা গেছে, স্বৈরাচারী আ.লীগের তৎকালীন সময়ে নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেলটিতে সুন্দরী নারীদের দিয়ে পরিচালনা করে আসতেন তানভীর। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দিক নির্দেশনা দিতেন এবং হোটেল ম্যানেজারের সহযোগীতায় চলতো সুন্দরী নারীদের আনাগোনা। তাদের খদ্দের যোগোনে রয়েছে তাদের সোসাল মিডিয়া বা ওয়েব সাইডে প্রচার প্রচারনা। হোটেল মালিক দাবী করেন এটি থ্রি ষ্টার হোটেল। তবে থ্রি ষ্টার হোটেলে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অনমোদন রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতি দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট যুব সমাজ। কিন্তু আমাদের জানামতে কোন আবাসিক এলাকায় হোটেলের অনুমতি হয়না। এসব বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ক্রমেই বাড়ছে হোটেলটিতে নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা। রয়েছে বেশ কিছু কলগার্ল। আবার অনেক যুবতী ধর্ষনের শিকার হন। যাদের মাধ্যমে খদ্দেরদের বø্যাকমেইল করে থাকতেন। যথারিতি চলে ডিজে পার্টিও। আর পাশাপাশি চলতো মাদকের মরন নেশা।
এদিকে এর আগেও হোটেলেটিতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদক তাদের হুমকির মূখে পরতে হয় এবং তানভীর বলেন, পুলিশ সাংবাদিক গোনার সময় নেই। উক্ত হোটেলটির জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কথা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে অবৈধ হোটেল ব্যবসা। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরও এখনো বহাল তবিয়তে হোটেলটিতে চলছে সামাজের যত অপৃত্তিকর ঘটনা। এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ভাই হোটেলটিতে অপরাধমূলক এমন কোন কাজ নেই তারা করেনা।
অণ্যদিতে এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলে হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী বা কপত কপতিদের নিয়েই নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। আরো বিস্তারিত আছে…