
কুমিল্লা, দাউদকান্দি উপজেলার বীরবাগ গোয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১১ সালে এই নতুন ভবনটি স্থাপিত হয়েছিল পুকুর পাড় সংলগ্ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ১৯৮৮ সালে এই পুকুরটি খনন করা হয় তখন থেকেই একটি মহল মাছ চাষ করে যাচ্ছে। মাছ চাষের ফলে পুকুরের পাড় গুলো ভেঙ্গে গেছে পুকুরের পাড় দিয়ে স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা ছিল সেটিও ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে আশেপাশের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। স্কুলের নতুন ভবনের পিলারের গোড়ার মাটি ভেঙ্গে গেছে। দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধির তদন্তে উঠে এসেছে যে, যারা মাছ চাষ করছেন তারা পকৃত পক্ষে একক মালিক নয়।
আরো পড়ৃুন:ময়মনসিংহ-কুমিল্লার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
এই পুকুরের যৌথ মালিকনা বিধায় কোন পক্ষই পুকুরের পাড় বাঁধতে আগ্রহী নয়। কিন্ত প্রতি বছরই মাছ চাষ করে মুনাফা করছে, অথচ চারটি পাড় ভেঙ্গে গেছে স্কুলের রাস্তা ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে এখন স্কুলের নতুন ভবন ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে।এ ব্যাপারে ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আহসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “যেহেতু সমস্যাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু স্কুলের প্রধান শিক্ষক যদি আমার কাছে দরখাস্ত করেন তাহলে সাথে সাথেই আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।১৯ মার্চ ২০২৪ প্রধান শিক্ষক জনাব মিন্টু স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমি ইতিমধ্যেই দরখাস্ত করেছি।
আরো পড়ৃুন:কেএমপি’র অভিযানে ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা গ্রেফতার
আবারও শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুকুরের পাড় ভেঙ্গে স্কুলের পিলারের গোড়া পর্যন্ত চলে গেছে এই মর্মে কোন অভিযোগ/দরখাস্ত/আবেদন কোনটাই পান নাই বলে শিক্ষা অফিসার জানান। ২১ মার্চ ২০২৪ আবারও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন , এটা আমার কাজ না”স্কুল ভেঙ্গে গেলে আপনার সমস্যা কি? আপনার সমস্যা থাকলে আপনি দরখাস্ত করেন বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলে থাকেন। আমি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি , যেহেতু এই বীরবাগ গোয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবকরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।