
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে এখন পাগলা ঘোড়ার গতিতে বেড়ে যাচ্ছে খেলাপি ঋণ। মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকের মূলধন, আয় কমে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আদায় বাড়িয়ে খেলাপি ঋণ কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে ঋণখেলাপিদের আবারও বড় ছাড় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।সার্কুলার অনুযায়ী, এখন থেকে বিদ্যমান ঋণস্থিতির ন্যূনতম ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নগদে পরিশোধ করে এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্তির আবেদন করতে পারবে। আগে কমপক্ষে ১০ শতাংশ পরিশোধ করে আবেদন করতে হতো। এ ধরনের ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড় দিয়ে প্রথম সার্কুলারটি জারি করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময় ২০২৪ সালের ৮ জুলাই। ওই সময়ে এই সার্কুলারের আওতায় খেলাপি ঋণ নবায়ন করেও এর ঊর্ধ্বগতি কমানো সম্ভব হয়নি। উলটো বেড়েই চলেছে, যা এখন আরও বেশি মাত্রায় বাড়ছে।
এতে বলা হয়, এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ হিসাবে গ্রাহক নির্ধারিত কিস্তি অনুযায়ী পরিশোধ না করলে তা খেলাপি হলে কোনো অবস্থাতেই পুনঃতফশিলীকরণ বা পুনর্গঠন করা যাবে না ফলে এখন এ সুবিধা নিলে কেউ আবার খেলাপি হলে সেক্ষেত্রে ওইসব ঋণ পুনঃতফশিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না।সার্কুলারে বলা হয়, আগের মতোই ঋণগ্রহীতার আবেদনপ্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংকে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।