
অযাচিত কারণ দেখিয়ে ইসরায়েল হামলা চালায় রাফায়। বেসামরিকদের উচ্ছেদ করে নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় তারা। ইসরায়েলের সেই হামলায় হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় দিতে রাজি না থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাই সহসাই হামাস ইসরায়েল দ্বন্দ্ব হচ্ছে না ইসরায়েল হামাসের দ্বন্দ্ব।তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সূত্র ধরে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা। এক ভিডিও বার্তায় হামাসের, ইজ্জ এল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করার বিষয়ে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে শত্রুকে নিঃশেষ করতে আমরা তাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।’ আবু উবায়দা আরও বলেন, আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা গত ১০ দিনে গাজাজুড়ে ইসরায়েলের একশ সামরিক যান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা সব প্রকাশ করছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আল কাসাম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র আরও দাবি করেন, রাফা শহরের পূর্বাঞ্চলে এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা শত্রুপক্ষের ওপর কঠিন আঘাত হেনেছেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলার মুখে বিভিন্ন স্থান থেকে বহু মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন এখানে। শহরটিতে বসবাস করছেন ১৫ লাখের বেশি গৃহহীন ফিলিস্তিনী। ইতিমধ্যে রাফা ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশ দখল করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাইরে থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এ ক্রসিং যেমনি গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গাজা থেকে বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথও এটি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে গত বছর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজায় খাবার, পানি, জ্বালানি ও ওষুধের প্রচণ্ড ঘাটতিতে ভুগছে লাখ লাখ মানুষ। অপরদিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও, ঘুমিয়ে থাকেনি বিশ্বের অন্যান্য দেশ। সেই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে, দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চারটি আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
One thought on “বেঁকে বসলো হামাস, কোন পথে হাঁটবে নেতানিয়াহু?”