
পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে বরিশাল জেলা ট্রাফিক পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। বাস স্টান্ড এলাকার সড়কে যানবাহন থামিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় আদায় করে আসলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় দিন দিন চাঁদাবাজি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কোনভাবেই যেন এই চাঁদাবাজি থামানো যাচ্ছে না। একই সঙ্গে মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে ট্রাফিক পুলিশ। ঈদ যাত্রায় পরিবহনের চাপ বেশি থাকায় চাঁদাবাজি পুলিশের বেড়ে গেছে।
এই সড়কের চলাচলকারী ভুক্তভোগী যানবাহন চালকরা জানিয়েছেন, বাকেরগঞ্জ বাসের স্টান্ড ও বাকেরগঞ্জ বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের কুন্ডু বাড়ির নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে গাড়ি তল্লাশির নামে মালবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাস, থ্রি হুইলার, অটো রিক্সা থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে বরিশাল জেলা ট্রাফিক পুলিশ। চাঁদা না দিলে চালকদেরকে বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রতি ভারী ও মাঝারি যান থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা ও ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে তারা।
আরো পড়ুন:লেকে মিললো ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ
ভরপাশা ইউনিয়নের অটোরিকশাচাল মায়দুল কাজী বলেন, বাস স্ট্যান্ড মহাসড়ক এলাকায় নিয়মিত অবৈধ মালামাল ও কাগজপত্র দেখার নামে কাঁচামাল ও বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাক, পিকআপ থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় হাইওয়ে থানা পুলিশ। ৩ মার্চ দুপুর ১২ টায় আমি সহ আরো তিনজন অটোচালক কে বরিশাল জেলা পুলিশের টিএসআই আইয়ুব আলী ও কনস্টেবল রেজাউল বাস স্ট্যান্ড থেকে অটো রিক্সাসহ আটকে রেখে এক একটি শাড়ি অটো ছাড়িয়ে নিতে ৫০০ টাকা করে দাবি করেন। আমরা তাদেরকে চাঁদা না দিলে আমাদের অটো রিক্সার চাবি রেখ দেয়।
অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে টিএসআই আইয়ুব আলী সংবাদ মাধ্যম দেখে রেগে যান। এ সময় টিএসআই আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন।