Dhaka 9:58 pm, Saturday, 15 March 2025

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দুই জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাকেশ দাস ও অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস কে মাসুম।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে ও বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তান মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে ধরে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল ও স্বৈরাচারেরর দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ ছাড়াও যারা যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশে দেবো। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারী যারাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন সক্রিয়ভাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাদেরকেও আমরা মামলার ভিত্তিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা মামলার আসামি হিসেবে আমাদের কাছে দিয়েছে দুই জনকে। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করবো, তারা সম্ভবত অ্যারেস্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৫ ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ঘটনার মামলা এটি। আরও বিস্তারিত বললে, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এরা। এ ছাড়াও যারা আছে এখনও তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, তাদেরকে আগের একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তাদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাকেশ দাসের বিষয়টা বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করার পর, পুলিশ বলেছে, সে নিয়মিত মামলার আসামি, আমরা তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমের বিষয়টা আমরা এখনও অবগত নই।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে ধরে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

Update Time : 10:10:59 am, Friday, 13 December 2024
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দুই জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাকেশ দাস ও অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস কে মাসুম।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশকে ও বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তান মসজিদের সামনে থেকে মাসুমকে ধরে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল, সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল ও স্বৈরাচারেরর দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাকেশ দাসকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ ছাড়াও যারা যারা ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। অতি দ্রুত আমরা তাদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশে দেবো। এমনকি শিক্ষক, কর্মচারী যারাই স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন সক্রিয়ভাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার। তাদেরকেও আমরা মামলার ভিত্তিতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা মামলার আসামি হিসেবে আমাদের কাছে দিয়েছে দুই জনকে। আমরা ডিবি অফিসে হস্তান্তর করবো, তারা সম্ভবত অ্যারেস্ট হিসেবে গ্রহণ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৫ ও ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ঘটনার মামলা এটি। আরও বিস্তারিত বললে, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-ইলাহী বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এরা। এ ছাড়াও যারা আছে এখনও তাদের বিরুদ্ধেও এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, তাদেরকে আগের একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তাদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাকেশ দাসের বিষয়টা বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে ফোন করার পর, পুলিশ বলেছে, সে নিয়মিত মামলার আসামি, আমরা তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে এসেছি। আর মাসুমের বিষয়টা আমরা এখনও অবগত নই।