Dhaka 2:42 am, Tuesday, 1 April 2025

বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে নেওয়া বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পুনরায় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সদস্যভুক্ত বস্ত্র মিলগুলোর জন্য এ সুবিধা চায় সংগঠনটি।

তারা আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সদ্যবিদায়ি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিটিএমএ প্রাইমারি টেক্সটাইল সেক্টরের সর্ববৃহৎ সংগঠন, এর সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৮৫০। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসাবে সর্বাধিক। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ থেকে ৮৬ শতাংশ অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত থেকে। যার ৭০ শতাংশের যোগানদাতা টেক্সটাইল খাত। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএ’র সদস্য মিলগুলো বর্তমানে আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসাবে বিবেচিত।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে ২৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকের বেতন ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিক অসন্তোষ, প্রয়োজনীয় গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে মিলগুলো উৎপাদন সক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিসহ উৎপাদনমুখী শিল্পগুলো কাঁচামাল আমদানিকালে বিনিময় হারজনিত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এসব কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

Update Time : 04:42:47 pm, Wednesday, 15 January 2025

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে নেওয়া বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ পুনরায় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সদস্যভুক্ত বস্ত্র মিলগুলোর জন্য এ সুবিধা চায় সংগঠনটি।

তারা আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সদ্যবিদায়ি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিটিএমএ প্রাইমারি টেক্সটাইল সেক্টরের সর্ববৃহৎ সংগঠন, এর সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৮৫০। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসাবে সর্বাধিক। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ থেকে ৮৬ শতাংশ অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত থেকে। যার ৭০ শতাংশের যোগানদাতা টেক্সটাইল খাত। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএ’র সদস্য মিলগুলো বর্তমানে আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসাবে বিবেচিত।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে ২৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকের বেতন ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিক অসন্তোষ, প্রয়োজনীয় গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে মিলগুলো উৎপাদন সক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিসহ উৎপাদনমুখী শিল্পগুলো কাঁচামাল আমদানিকালে বিনিময় হারজনিত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এসব কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে।