Dhaka 1:20 am, Saturday, 15 March 2025

সাইবার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাইবার ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকিং খাত এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে দেশের ডিজিটাল অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সম্প্রতি একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট, ফিশিং আক্রমণ ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় এবং সচেতনতার অভাবে এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সাইবার আক্রমণের মধ্যে অন্যতম ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা এবং ২০২২ সালের ১৬ই অক্টোবর দেশের সংবাদভিত্তিক গণমাধ্যম সময় টিভির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি দপ্তর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটেও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব, দক্ষ জনবলের সংকট, অপরাধীদের শনাক্তকরণে জটিলতা এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার ঘাটতি এসব কারণেই সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ নাজমুল হাসান সংবাদ দিগন্ত কে বলেন, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে হ্যাকাররা সহজেই বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারছে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন-
* সাইবার নিরাপত্তা আইন ও নীতিমালা শক্তিশালী করা * সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা * জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা * দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরি করা * নিয়মিত সাইবার ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা। সরকার ইতোমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই এখনই সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বাংলাদেশকে সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করতে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সাইবার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

Update Time : 08:21:08 pm, Saturday, 1 February 2025

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাইবার ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকিং খাত এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে দেশের ডিজিটাল অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সম্প্রতি একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট, ফিশিং আক্রমণ ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় এবং সচেতনতার অভাবে এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সাইবার আক্রমণের মধ্যে অন্যতম ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা এবং ২০২২ সালের ১৬ই অক্টোবর দেশের সংবাদভিত্তিক গণমাধ্যম সময় টিভির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি দপ্তর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটেও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব, দক্ষ জনবলের সংকট, অপরাধীদের শনাক্তকরণে জটিলতা এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার ঘাটতি এসব কারণেই সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ নাজমুল হাসান সংবাদ দিগন্ত কে বলেন, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে হ্যাকাররা সহজেই বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারছে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন-
* সাইবার নিরাপত্তা আইন ও নীতিমালা শক্তিশালী করা * সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা * জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা * দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরি করা * নিয়মিত সাইবার ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা। সরকার ইতোমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই এখনই সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে বাংলাদেশকে সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করতে।