Dhaka 8:51 am, Saturday, 15 March 2025

গুলশানে পুলিশের ছত্রছায়ায় শাওন,পায়েল ও বাহারের নারী সিন্ডিকেটের স্বর্গরাজ্য!

রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্পা সেন্টার রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব সেন্টার পুলিশ-সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে স্পার আড়ালে চালায় অনৈতিক কাজ। স্পা সেন্টারের ধরনভেদে প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ বা তারও অধিক টাকা মাসোহারা দিতে হয় বলে জানা গেছে। ফলে ওইসব স্পা সেন্টারের ভেতরে কী হয়, তা নিয়ে আর প্রশ্ন ওঠে না। তবে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) নাম ভাঙিয়ে’ চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই এবং তাকে এবিষয়ে অবগত করা হয়। তবু তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। তবে ইতিপূর্বে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নিবেন বলে জনান। কিন্তু চাঁদার কছে হার মানে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা। গুলশান-বনানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্পা সেন্টার। বাইরে নাম হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার থাকলেও এসবের ভেতরে চলছে জমজমাট ‘দেহব্যবসা’ ও মাদক কারবার। আবার এ অনৈতিক কাজগুলো সাপোর্ট দিচ্ছে সাংবাদিক, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। অবশ্য এর বিনিময়ে তারা বড় অঙ্কের মাসোহারা আাদায় করছেন স্পা সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গুলশান এলাকায় প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার মাসোহারা বাণিজ্য হয় স্পা সেন্টার ঘিরে। প্রতিটি স্পা সেন্টারে মাসিক মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় মাসিক মাসোহারা। পরে ভাগ করে দেওয়া হয় কে কত পাবে।
এবিষয়ে ৪৪ নং রোডের ২৭ নং বাড়িটির লিফটের ৪র্থ তলায় অবস্থিত এক স্পা প্রতিষ্ঠানে মালিক শাওন বলেন, মাসে পুলিশকে দিতে হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এরপর সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, এলাকার লোকজনসহ নানা সময়ে দিতে হয় বিভিন্ন অঙ্কের মাসোহারা। অথচ উক্ত শাওন স্বৈরাচারী আ.লীগের সময় মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি নিজেকে দল পরিবর্তন করে পুলিশ, বিএনপি বা ছাত্র সমাজের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চলে তার নানা অপকর্ম। তার নামে গুলশান থানায় একাধিক মানবপাচার ও প্রতারনার মামলাও রয়েছে।
এদিকে ৪৭ নং রোডের ২৫ নং বাড়িটির ৫ম তলায় পায়েল নামের এক মহিলার স্পা সেন্টারে প্রকাশ্যেই দির্ঘদীন ধরেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ললিাখেলা। তাকের হাসানের স্ত্রী হিসেবে চিনে সবাই। তিনি এক সময় নাভানা টাওয়ারে অল দ্যা বেষ্ট স্পা সেন্টারটিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে হাসানের সাথে গড়ে ওঠে তার সম্পর্ক এবং তিনি নিজে একজন ছাত্রী হিসেবে বিভিন্ন খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন অল দ্যা বেষ্ট স্পা সেন্টারটির মালিক। এরপর তিনি নিজেকে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত না রেখে এখনো চলে তার দেহ ব্যবসার ফটোক। এবিষয়ে অসাধু ব্যবসায়ী পায়েলকে একাধিকবার ফোন করে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিবার গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এছাড়া গুলশান থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফেনে ফোন এবং ম্যাসেজ করলে তার কোর উত্তর পাওয়া যায়নি। এর অণ্যতম কারন জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গুলশান ২ রোড নং- ৯৯ হাউস নাম্বার ৩৩/অ,অ্যাপার্টমেন্ট (৫ম তলা) ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে দির্ঘদীন ধরে। যাহার মালিক বাহার এবং অপরাধ জগতের মাফিয়া ডন নামে পরিচিত। তিনি নিজেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে থাকেন। ইতিপূর্বে ছিলেন স্বৈরাচারী আ.লীগের কর্মী। আবার পরিচয় দেয় আমি একজন যুগান্তরের সাংবাদিক। এটি ভ‚য়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং এর আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাকে সবাই চিটিং বাহার হিসেবে চিনেন। কিছুদিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় এবং সিলগালা করে দেয়। পরে শোনা যায় তাদেরকে ম্যানেজ করে আবারো শুরু করে আগের মতই অপরাধ। এবষিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠান ইলিগাল খুলেছে এবং আমরা বিষয়টি জানিনা। তবে এসব ব্যবসা সমাজের একটি গুরত্ব অপরাধ। আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে সম্প্রত্তি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এবষিয়ে অভিযানের ব্যপারে একাধিকবার কথা দিলেও তার ভ‚মিকা নেই বললেই চলে এবং এসব বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পরে আছে তার নিকট। কিন্তু তারা যদি মাসোহারা না নিয়ে থাকেন তাহলে কেন এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নেই বলে জানিয়েছের জণসাধারন। শুধু তাই নয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পরিবারও তাদের নিকট অভিযোগ করেছে এবং সেটিরও হুদিস নেই। বরং সেটিকে পুঁজি করে তারা আসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যথারিতি যোগাযোগ রাখছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গুলশানে পুলিশের ছত্রছায়ায় শাওন,পায়েল ও বাহারের নারী সিন্ডিকেটের স্বর্গরাজ্য!

Update Time : 06:45:51 pm, Saturday, 8 February 2025

রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্পা সেন্টার রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব সেন্টার পুলিশ-সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে স্পার আড়ালে চালায় অনৈতিক কাজ। স্পা সেন্টারের ধরনভেদে প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ বা তারও অধিক টাকা মাসোহারা দিতে হয় বলে জানা গেছে। ফলে ওইসব স্পা সেন্টারের ভেতরে কী হয়, তা নিয়ে আর প্রশ্ন ওঠে না। তবে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) নাম ভাঙিয়ে’ চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই এবং তাকে এবিষয়ে অবগত করা হয়। তবু তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। তবে ইতিপূর্বে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নিবেন বলে জনান। কিন্তু চাঁদার কছে হার মানে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা। গুলশান-বনানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্পা সেন্টার। বাইরে নাম হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার থাকলেও এসবের ভেতরে চলছে জমজমাট ‘দেহব্যবসা’ ও মাদক কারবার। আবার এ অনৈতিক কাজগুলো সাপোর্ট দিচ্ছে সাংবাদিক, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। অবশ্য এর বিনিময়ে তারা বড় অঙ্কের মাসোহারা আাদায় করছেন স্পা সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গুলশান এলাকায় প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার মাসোহারা বাণিজ্য হয় স্পা সেন্টার ঘিরে। প্রতিটি স্পা সেন্টারে মাসিক মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় মাসিক মাসোহারা। পরে ভাগ করে দেওয়া হয় কে কত পাবে।
এবিষয়ে ৪৪ নং রোডের ২৭ নং বাড়িটির লিফটের ৪র্থ তলায় অবস্থিত এক স্পা প্রতিষ্ঠানে মালিক শাওন বলেন, মাসে পুলিশকে দিতে হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এরপর সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, এলাকার লোকজনসহ নানা সময়ে দিতে হয় বিভিন্ন অঙ্কের মাসোহারা। অথচ উক্ত শাওন স্বৈরাচারী আ.লীগের সময় মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তিনি নিজেকে দল পরিবর্তন করে পুলিশ, বিএনপি বা ছাত্র সমাজের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চলে তার নানা অপকর্ম। তার নামে গুলশান থানায় একাধিক মানবপাচার ও প্রতারনার মামলাও রয়েছে।
এদিকে ৪৭ নং রোডের ২৫ নং বাড়িটির ৫ম তলায় পায়েল নামের এক মহিলার স্পা সেন্টারে প্রকাশ্যেই দির্ঘদীন ধরেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ললিাখেলা। তাকের হাসানের স্ত্রী হিসেবে চিনে সবাই। তিনি এক সময় নাভানা টাওয়ারে অল দ্যা বেষ্ট স্পা সেন্টারটিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে হাসানের সাথে গড়ে ওঠে তার সম্পর্ক এবং তিনি নিজে একজন ছাত্রী হিসেবে বিভিন্ন খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন অল দ্যা বেষ্ট স্পা সেন্টারটির মালিক। এরপর তিনি নিজেকে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত না রেখে এখনো চলে তার দেহ ব্যবসার ফটোক। এবিষয়ে অসাধু ব্যবসায়ী পায়েলকে একাধিকবার ফোন করে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিবার গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এছাড়া গুলশান থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফেনে ফোন এবং ম্যাসেজ করলে তার কোর উত্তর পাওয়া যায়নি। এর অণ্যতম কারন জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গুলশান ২ রোড নং- ৯৯ হাউস নাম্বার ৩৩/অ,অ্যাপার্টমেন্ট (৫ম তলা) ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে দির্ঘদীন ধরে। যাহার মালিক বাহার এবং অপরাধ জগতের মাফিয়া ডন নামে পরিচিত। তিনি নিজেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে থাকেন। ইতিপূর্বে ছিলেন স্বৈরাচারী আ.লীগের কর্মী। আবার পরিচয় দেয় আমি একজন যুগান্তরের সাংবাদিক। এটি ভ‚য়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং এর আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাকে সবাই চিটিং বাহার হিসেবে চিনেন। কিছুদিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় এবং সিলগালা করে দেয়। পরে শোনা যায় তাদেরকে ম্যানেজ করে আবারো শুরু করে আগের মতই অপরাধ। এবষিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠান ইলিগাল খুলেছে এবং আমরা বিষয়টি জানিনা। তবে এসব ব্যবসা সমাজের একটি গুরত্ব অপরাধ। আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে সম্প্রত্তি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এবষিয়ে অভিযানের ব্যপারে একাধিকবার কথা দিলেও তার ভ‚মিকা নেই বললেই চলে এবং এসব বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পরে আছে তার নিকট। কিন্তু তারা যদি মাসোহারা না নিয়ে থাকেন তাহলে কেন এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নেই বলে জানিয়েছের জণসাধারন। শুধু তাই নয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পরিবারও তাদের নিকট অভিযোগ করেছে এবং সেটিরও হুদিস নেই। বরং সেটিকে পুঁজি করে তারা আসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যথারিতি যোগাযোগ রাখছে।