Dhaka 9:06 am, Saturday, 15 March 2025

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে পিছিয়ে দেশ

দুই দশকে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

গত দুই দশকে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। গেলো বছর একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খবর জানিয়েছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। আর এই উৎপাদনের প্রায় পুরোটাই আসছে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে।

অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিদ্যুৎ খাতে সফলতার গল্প বলা হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব‍্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও ২০২০ সালের মধ্যেই মোট জ্বালানির ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য খাত থেকে আনার লক্ষ‍্য নির্ধারণ করেছিল ক্ষমতাচ‍্যুত আওয়ামী লীগ সরকার।

এ অবস্থায় আমদানি নির্ভর জ্বালানির ব্যবহার কমানো সবচেয়ে জরুবি। দেশের প্রয়োজনীয় জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এই খাতকে নবায়নযোগ্য খাতে রূপান্তর করাও অপরিহার্য।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। অর্থব্যয়ে যথেচ্ছ অনিয়ম অগ্রযাত্রার পথে বড় বাধা। সাথে নীতিনির্ধারকদের সদিচ্ছার অভাব তো আছেই।

দেশীয় অর্থের ওপর নির্ভর না করে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এম জাকির হোসেন খান বলেছেন, সরকার যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির হার ২০৪০ বা ৪১ সালে ৪০ শতাংশ করতে চায়, গড়ে প্রতি বছর প্রায় এক থেকে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার লাগবে। এর জন্য টাকা অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো থেকে পাবে, অথবা সরকার নিজে বিনিয়োগ করবে অথবা বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। এই তিনটা মিলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির একটা ফাইন্যান্স রোডম্যাপ থাকা উচিত ছিল। স্ট্রাটেজি থাকা উচিত ছিল।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে পিছিয়ে দেশ

Update Time : 06:40:57 pm, Monday, 10 February 2025

গত দুই দশকে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। গেলো বছর একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খবর জানিয়েছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। আর এই উৎপাদনের প্রায় পুরোটাই আসছে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে।

অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিদ্যুৎ খাতে সফলতার গল্প বলা হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব‍্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও ২০২০ সালের মধ্যেই মোট জ্বালানির ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য খাত থেকে আনার লক্ষ‍্য নির্ধারণ করেছিল ক্ষমতাচ‍্যুত আওয়ামী লীগ সরকার।

এ অবস্থায় আমদানি নির্ভর জ্বালানির ব্যবহার কমানো সবচেয়ে জরুবি। দেশের প্রয়োজনীয় জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এই খাতকে নবায়নযোগ্য খাতে রূপান্তর করাও অপরিহার্য।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। অর্থব্যয়ে যথেচ্ছ অনিয়ম অগ্রযাত্রার পথে বড় বাধা। সাথে নীতিনির্ধারকদের সদিচ্ছার অভাব তো আছেই।

দেশীয় অর্থের ওপর নির্ভর না করে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এম জাকির হোসেন খান বলেছেন, সরকার যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির হার ২০৪০ বা ৪১ সালে ৪০ শতাংশ করতে চায়, গড়ে প্রতি বছর প্রায় এক থেকে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার লাগবে। এর জন্য টাকা অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো থেকে পাবে, অথবা সরকার নিজে বিনিয়োগ করবে অথবা বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। এই তিনটা মিলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির একটা ফাইন্যান্স রোডম্যাপ থাকা উচিত ছিল। স্ট্রাটেজি থাকা উচিত ছিল।