
পিঠ ও কোমর ব্যথা এখন খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিসে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা, দৈহিক পরিশ্রমের অভাব কিংবা বয়সজনিত কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু জীবনযাপন নয়—পুষ্টির ঘাটতিও এর একটি বড় কারণ। বিশেষ করে ভিটামিন ডি-এর অভাব অনেক সময় এই ব্যথার জন্য দায়ী হয়ে থাকে।
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি মূলত হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পিঠ ও কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ঘাড়, হাত ও পায়ের জয়েন্টেও ব্যথা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির উপসর্গ:
-
ঘন ঘন পিঠ ও কোমর ব্যথা
-
ক্লান্তি ও শরীরের দুর্বলতা
-
হাত ও পায়ে ব্যথা
-
হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়া
-
মাথা ঘোরা ও মনোযোগ কমে যাওয়া
কিভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে প্রাকৃতিক উৎস হলো সূর্যের আলো। প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে রোদে থাকা উচিত। এই সময় সূর্যের রশ্মি নিরাপদ এবং এতে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়।
তবে শুধু রোদে থাকলেই চলবে না। খাদ্যতালিকাতেও রাখতে হবে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। যেমন:
-
সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, টুনা, সারডিন)
-
মাশরুম
-
দুধ ও দই
-
কমলা
-
ডিমের কুসুম
-
ফোর্টিফায়েড খাবার (যেমন: ভিটামিন ডি-যুক্ত সিরিয়াল)
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
গরমের সময় অনেকেই রোদে থাকতে চান না। তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার বেছে নেওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করাও হতে পারে একটি সমাধান।
পিঠ ও কোমর ব্যথাকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। বারবার এই সমস্যা দেখা দিলে শুধু ব্যথানাশক নয়, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। সময়মতো সতর্কতা নিলে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।