Dhaka 9:26 am, Saturday, 15 March 2025

কসবায় ১১ দিন পর অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করে তার বন্ধু রাসেল মিয়া। হত্যার ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. মহসীন (২৪) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে
পাঠানো হয়েছে। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।অভিযুক্ত রাসেল বিষ্ণুপুর এলাকার মন মিয়ার ছেলে। তথ্য-
প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া
স্বীকারোক্তি মতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জবানবন্দির জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহসীনের বাবা
আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলায় রাসেল ছাড়াও রিপন নামের আরও একজনকে
আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের জানান,
একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য মহসীনকে চার হাজার টাকা দেন রাসেল। তবে মহসীন মোবাইল ফোন দিতে
গড়িমসি করছিলেন। একপর্যায়ে রাসেল জানতে পারে যে মহসীন ওই মোবাইল ফোনটি ছয় হাজার টাকায় বিক্রি
করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ই ডিসেম্বর মহসীনকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে রিপনের সহযোগিতায়
হত্যা করে রাসেল।

তিনি জানান, ঘটনার পরদিন রাসেল তার পাওনা চার হাজার টাকার জন্য মহসীনের বাড়িতে যান। এ সময়

মহসীনের স্ত্রী জানান, মহসীন আগের দিন থেকে বাড়িতে আসেননি। মহসীন তার কাছে যে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন, সেটা দিয়ে তিনি কিস্তি দিয়েছেন বলে হাতে টাকা নেই। মহসীনের মা বলেন, মহসীন ফিরে এলে কথা বলে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। ওসি জানান, এ ঘটনায় ১৮ই ডিসেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরই সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায় যে রাসেলকে আটক করা গেলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাসেল ও তার সহযোগী রিপন মাদকসেবী বলে জানান তিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কসবায় ১১ দিন পর অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

Update Time : 11:57:04 am, Saturday, 28 December 2024
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করে তার বন্ধু রাসেল মিয়া। হত্যার ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. মহসীন (২৪) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে
পাঠানো হয়েছে। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।অভিযুক্ত রাসেল বিষ্ণুপুর এলাকার মন মিয়ার ছেলে। তথ্য-
প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া
স্বীকারোক্তি মতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জবানবন্দির জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহসীনের বাবা
আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলায় রাসেল ছাড়াও রিপন নামের আরও একজনকে
আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের জানান,
একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য মহসীনকে চার হাজার টাকা দেন রাসেল। তবে মহসীন মোবাইল ফোন দিতে
গড়িমসি করছিলেন। একপর্যায়ে রাসেল জানতে পারে যে মহসীন ওই মোবাইল ফোনটি ছয় হাজার টাকায় বিক্রি
করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ই ডিসেম্বর মহসীনকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে রিপনের সহযোগিতায়
হত্যা করে রাসেল।

তিনি জানান, ঘটনার পরদিন রাসেল তার পাওনা চার হাজার টাকার জন্য মহসীনের বাড়িতে যান। এ সময়

মহসীনের স্ত্রী জানান, মহসীন আগের দিন থেকে বাড়িতে আসেননি। মহসীন তার কাছে যে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন, সেটা দিয়ে তিনি কিস্তি দিয়েছেন বলে হাতে টাকা নেই। মহসীনের মা বলেন, মহসীন ফিরে এলে কথা বলে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। ওসি জানান, এ ঘটনায় ১৮ই ডিসেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরই সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায় যে রাসেলকে আটক করা গেলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাসেল ও তার সহযোগী রিপন মাদকসেবী বলে জানান তিনি।