
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলার দুইটি থানা এবং একটি পুলিশ পোস্টে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ মার্চ) গভীর রাতে এই হামলা হয়। অজ্ঞাত মোটরসাইকেল আরোহীরা পুলিশ পোস্টে দুটি হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এছাড়া বাকাখেল এবং ঘোরিওয়ালা থানাকেও লক্ষ্যবস্তু করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরে আক্রমণকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তিনটি ভিন্ন স্থানে একযোগে হামলায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হামলাকারীদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার না হলেও পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি আরও হামলা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
এর আগে গেল সপ্তাহে খাইবার-পাখতুনখোয়ার বান্নু সেনানিবাসে হামলা করে দুষ্কৃতিকারীরা। তখন নিরাপত্তা সূত্র জানায়, অন্তত ছয়জন হামলাকারী নিহত করেছে। ওই হামলার প্রচেষ্টায় জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা জড়িত ছিল। তারা দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি সেনানিবাসের ঘেরে নিয়ে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটায়।খাইবার-পাখতুনখোয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জুলফিকার হামিদ, এসব ঘটনার তদন্ত চলছে। উভয় সাইটের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতদের দেহাবশেষের ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোমা হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি হামিদ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বান্নু হামলায় ব্যবহৃত গাড়ির সন্ধান পেয়েছে। এ ঘটনায় বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান প্রকাশ করেন। হামিদ বলেন, “আমরা অস্ত্রের উৎপত্তি এবং কীভাবে তারা দেশে প্রবেশ করেছে তা তদন্ত করছি।”