টেস্টোস্টেরন পুরুষের প্রধান যৌন হরমোন এবং অ্যান্ড্রোজেন হিসেবে পরিচিত।প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের প্রভাব পুরুষদের মধ্যে বেশি স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরুষের প্রজনন অঙ্গ যেমন অণ্ডকোষ এবং প্রোস্টেটের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, পাশাপাশি পেশি ও হাড়ের ভর বৃদ্ধি, শরীরের লোমের বৃদ্ধি ইত্যাদি সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্যগুলোর বিকাশে সহায়তা করে। এটি আক্রমণাত্মকতা, আকাঙ্ক্ষা, আধিপত্য, প্রেম নিবেদন এবং বিভিন্ন আচরণগত বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত।
এছাড়া, টেস্টোস্টেরন স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন মেজাজ, মস্তিষ্কের কার্যক্রম, সামাজিক ও যৌন আচরণ, বিপাক এবং শক্তির উৎপাদন, হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধেওজন বেশি থাকলে টেস্টোস্টেরন কমে যায়। ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে। টেস্টোস্টেরন পেশি তৈরিতে সহায়তা করে, আবার পেশি বাড়লে হরমোনের উৎপাদনও বাড়ে — এটি একটি ইতিবাচক চক্র। ব্যায়াম কর্টিসল (চাপের হরমোন) কমিয়ে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম:
ওজন উত্তোলন (Weight Training) – স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস ইত্যাদি
HIIT (High Intensity Interval Training) – অল্প সময়ে বেশি ক্যালোরি খরচ ও হরমোন বৃদ্ধি করে এরকম ব্যায়াম
কম্পাউন্ড এক্সারসাইজ – যেসব ব্যায়ামে একাধিক পেশি কাজ করে (যেমন পুল-আপস, লাংস)
ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।