
সালমান খানকে নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। পর্দায় তাঁর ছবি এলে মুহূর্তে ভরে যায় প্রেক্ষাগৃহ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জানতে আগ্রহী অনেকেই। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আবার আইনি জটিলতায়ও জড়িয়েছেন তিনি। কাজের বিষয়ে কখনো অজুহাত দিতে নেই। কাজের সময় বলতে নেই, ঘুমের প্রয়োজন। তিনি নিজে দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমান বলেও জানান সালমান। তা ছাড়া সারা দিনে কোনো কাজ না থাকলে সেই ফাঁকে ঘুমিয়ে নেন। কারাবাসেও ঘুম নিয়ে একই অভিজ্ঞতা তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে সালমান যা বললেন, মাঝেমধ্যে শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ-সাত মিনিট বিরতি পেলে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে নিই।কারাবাসে থাকার সময় শুধুই ঘুমোতাম। তার কারণ, ঘুমানো ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না।১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণকায় হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই সময় দিন কয়েক জেলে কাটে অভিনেতার। এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় অভিনেতাকে।
কয়েক দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে, যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেন সালমানকে। জামিন মেলার আগে দিন কয়েক সংশোধনাগারে কাটিয়েছেন নায়ক। এই মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। এ ছাড়া সালমানের বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলাও ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।