
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল স্থানীয় সময় ৯টা ৩১ মিনিটে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে তিনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলিহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার পাশে তার সন্তানরা ছিলেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি শুরু হয়। আজ এপেক্স শুধু রফতানিতেই নয়, দেশীয় জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
১৯৭২ সালে ‘মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি, যা কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির কাজ করত। রফতানিমুখী জুতা উৎপাদনকারী কারখানা হিসেবে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের যাত্রা ১৯৯০ সালে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। সে সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ট্যানারিকে নিলামে তোলে সরকার। ১২ লাখ ২২ হাজার ডলারে ট্যানারিটি কিনে নেন উদ্যোক্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এপেক্স ট্যানারি।সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে পড়ে চামড়াজাত জুতার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে জুতার রফতানিমুখী প্রথম কারখানা হিসেবে যাত্রা করলেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি এপেক্স ফুটওয়্যারকে।সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।