Dhaka 6:50 am, Monday, 28 April 2025

একেক প্রাণীর জীবনকাল একেক রকম 

একেক প্রাণী একেক রকম 

পৃথিবীতে বেশ কিছু প্রাণী খুবই অল্প সময় বাঁচে, আবার কিছু প্রাণী দীর্ঘজীবী হয়। আর তাই তো কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন বেঁচে থাকা ক্ষুদ্র পতঙ্গের পাশাপাশি শত শত বছর ধরে টিকে থাকা প্রাণীর দেখা মিলে থাকে পৃথিবীতে। বিভিন্ন প্রাণীর জীবনকাল জিনগত বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত প্রভাব, খাদ্যাভ্যাস, আকার, বিপাকীয় হার ও খাদ্যশৃঙ্খলের ওপর নির্ভর করে।

ক্ষুদ্র প্রাণীদের মধ্যে সাধারণত স্বল্প সময়ের জীবনচক্র দেখা যায়। মেফ্লাই নামক এক ধরনের জলজ পতঙ্গের পূর্ণাঙ্গ জীবনকাল মাত্র কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।অন্যদিকে পানিতে ভাসমান লার্ভা এক বছরের মতো বাঁচতে পারে।

সাধারণত বড় আকারের প্রাণীগুলো ছোট প্রাণীদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হয়। বড় প্রাণীদের শারীরিক বৃদ্ধি ও প্রজনন প্রক্রিয়া ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।একটি ছোট পাখি কয়েক বছর বাঁচলেও বিশাল তিমি এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকে। স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে হাতি ৭০ থেকে ৮০ বছর এবং কচ্ছপ ১৫০ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

উচ্চ বিপাকীয় হারের প্রাণীরা দ্রুত শক্তি ব্যবহার করে বলে তাদের কোষের ক্ষয়ও দ্রুত হয়। ধীর বিপাকীয় হারের প্রাণীরা ধীরে ধীরে শক্তি ব্যবহার করে, ফলে তাদের কোষের ক্ষয়ও তুলনামূলকভাবে কম হয়। ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ছুঁচোর বিপাক হার খুব বেশি হওয়ায় তাদের জীবনকালও তুলনামূলকভাবে কম। হামিংবার্ড ৩ থেকে ৫ বছর বেঁচে থাকে।

শিকারি-শিকার সম্পর্কও প্রাণীর জীবনকালকে প্রভাবিত করে। যেসব প্রাণীর শিকারির সংখ্যা বেশি, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। তারা দ্রুত প্রজননের মাধ্যমে নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। আবার যেসব প্রাণীর কোনো প্রাকৃতিক শত্রু নেই, তারা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় ও দীর্ঘ জীবন লাভ করে। শিকারি না থাকার কারণে দ্বীপ বা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক প্রাণীকে ভূখণ্ডের একই প্রজাতির প্রাণীদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হতে দেখা যায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

একেক প্রাণীর জীবনকাল একেক রকম 

Update Time : 04:43:42 pm, Saturday, 26 April 2025

পৃথিবীতে বেশ কিছু প্রাণী খুবই অল্প সময় বাঁচে, আবার কিছু প্রাণী দীর্ঘজীবী হয়। আর তাই তো কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন বেঁচে থাকা ক্ষুদ্র পতঙ্গের পাশাপাশি শত শত বছর ধরে টিকে থাকা প্রাণীর দেখা মিলে থাকে পৃথিবীতে। বিভিন্ন প্রাণীর জীবনকাল জিনগত বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত প্রভাব, খাদ্যাভ্যাস, আকার, বিপাকীয় হার ও খাদ্যশৃঙ্খলের ওপর নির্ভর করে।

ক্ষুদ্র প্রাণীদের মধ্যে সাধারণত স্বল্প সময়ের জীবনচক্র দেখা যায়। মেফ্লাই নামক এক ধরনের জলজ পতঙ্গের পূর্ণাঙ্গ জীবনকাল মাত্র কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।অন্যদিকে পানিতে ভাসমান লার্ভা এক বছরের মতো বাঁচতে পারে।

সাধারণত বড় আকারের প্রাণীগুলো ছোট প্রাণীদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হয়। বড় প্রাণীদের শারীরিক বৃদ্ধি ও প্রজনন প্রক্রিয়া ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।একটি ছোট পাখি কয়েক বছর বাঁচলেও বিশাল তিমি এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকে। স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে হাতি ৭০ থেকে ৮০ বছর এবং কচ্ছপ ১৫০ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

উচ্চ বিপাকীয় হারের প্রাণীরা দ্রুত শক্তি ব্যবহার করে বলে তাদের কোষের ক্ষয়ও দ্রুত হয়। ধীর বিপাকীয় হারের প্রাণীরা ধীরে ধীরে শক্তি ব্যবহার করে, ফলে তাদের কোষের ক্ষয়ও তুলনামূলকভাবে কম হয়। ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ছুঁচোর বিপাক হার খুব বেশি হওয়ায় তাদের জীবনকালও তুলনামূলকভাবে কম। হামিংবার্ড ৩ থেকে ৫ বছর বেঁচে থাকে।

শিকারি-শিকার সম্পর্কও প্রাণীর জীবনকালকে প্রভাবিত করে। যেসব প্রাণীর শিকারির সংখ্যা বেশি, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। তারা দ্রুত প্রজননের মাধ্যমে নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। আবার যেসব প্রাণীর কোনো প্রাকৃতিক শত্রু নেই, তারা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় ও দীর্ঘ জীবন লাভ করে। শিকারি না থাকার কারণে দ্বীপ বা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক প্রাণীকে ভূখণ্ডের একই প্রজাতির প্রাণীদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হতে দেখা যায়।