
জামায়াতের ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, চীনের সাথে আমাদের ঐতিহ্যগত একটি সর্ম্পক রয়েছে। চীনের গুরুত্বর্পূণ ব্যাক্তিরা এখানে এসেছেন এবং তারা এখনকার সমাজ পরির্বতনেঅবধান রেখেছেন। আবার এখান থেকেও জ্ঞানীগুণি ব্যাক্তিরা তাদের জ্ঞানের পরিসর আরো বৃদ্ধির
জন্য চায়না সফর করেছেন। সেখান থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও ভাষা এই সমস্ত বিষয়ে তারা উতর্কষ সাধন করেছেন। দুনিয়ায় ভাষার দিক থেকে যে সমস্ত জাতি খুবই কাছাকাছি, তাদের মনের আদান প্রদান খুবই চমৎকার । আমরা চাই চীনের সাথে আমাদের ভাষাগত সর্ম্পক আরো সুদৃঢ হোক। তাহলে
আমাদের হৃদয়ের বন্ধন আরো সুদৃঢ হবে। চায়নার সরকার এরই মধ্যে কল্যানমূলক কাজের পদক্ষেপ
নিয়েছে।
আমরা আশা করবো চাইনিস ভাষা শিক্ষার একটা উচ্চতর একাডেমি এখানে গড়ে তুলবেন। যাতে করে আমাদের পরর্বতী জেনারেশন চায়নার সাথে আরো বেশি ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক গড়ে তুলতে পারে। আজ বিশ্বে যে কয়টি দেশে বিজ্ঞান প্রকৌশলে একেবারেই সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে চায়না তার
অন্যতম গুরুত্বর্পূণ দেশ। অতএব চায়নার কাছ থেকে আমাদের পাওয়ার এবং জানার অনেক কিছু আছে। আজকে যে মহত কাজের জন্য চায়না রিপালিকের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদুত এবং তার সহর্কামীরা এখানে এসেছেন আমরা বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে তাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে আমাদের এই সহযোগিতার যে অভিযাত্রা শুরুহলো এটি দিন দিন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। চায়নার মান্যবর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমরা আহবান জানাতে চাই, বিশাল একটি দেশে চায়না আপনারা বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টিকে সেখানে সম্মানিত করছেন দাওয়াত দিয়ে
নিয়ে যাচ্ছেন তার পাশাপাশি সাংবাদিক মহল বুদ্ধিজীবী শিক্ষাবিদ যারা তাদেরকেও আপনারকেও আপনারা এই সুযোগটা বেশি বেশি করে দিবেন। তাহলে সমাজ র্বিনিমানে তারা আরো র্অথকরি ভূমিকা পারবেন। আমরা মিলেমিশে হাতে হাতধরে পাশাপাশি থেকে প্রিয় বাংলাদেশকে সবাই মিলে ভালোবাসবো।
রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ওয়ামীর স্থায়ী ক্যাম্পে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষ্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে লং লীভ ফ্রেন্ডশীপ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে
নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ওয়েন। এছাড়া চীনা দূতাবাসের র্কমর্কতাগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান থেকে এক হাজার দুস্থ ব্যাক্তিদের মধ্যে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি চাল, ঢাল তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করা হয়।