Dhaka 9:07 pm, Friday, 14 March 2025

মধ্যনগরে শিক্ষকের অবিনব কায়দার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

অবিনব কায়দার অনিয়ম দুর্নীতি

শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেটমুখী করতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবিনব কায়দায় অনিয়ম দুর্নীতি করে বেশি নাম্বার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারের পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানকারী শিক্ষক তিতাস মাহমুদ এক অবিনব কায়দা অবলম্ব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় কম নম্বর পেলেও অনিয়ম দুর্নীতি করে তাদেরকে বেশি নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণ করান। পাশাপাশি ক্লাসে ভাল শিক্ষার্থী বানানোর প্রমাণ করাতে এ ধরণের মনমানসিকতা নিয়ে কারচুপি করেন তিনি। এমনি ঘটনা ঘটিয়েছেন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাইয়ে এর প্রমান মিলেছে । সম্প্রতি মোহনগঞ্জ বৈষম্যহীন নাগরিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজন বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রে অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়ার তথ্যপ্রমাণ সহ একটি চিঠি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেছেন। যেখানে এই তিনজন শিক্ষার্থী গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে একেবারেই কম নম্বর পেলেও তাদের খাতা মূল্যায়ন করে বেশি নম্বর দিতে দেখা গেছে। প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের কাছে সুনাম অর্জন করতেই কতিপয় অসাধু শিক্ষক এমন পন্থা অবলম্ব করেছে বলে এ অভিযোগে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে যারা প্রাইভেট পড়েনা তাদেরকেও বাঁকা চোখে দেখেন এমন প্রকৃতির শিক্ষকরা। এই সংগঠনটি উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে মহান এই পেশাটির এখন চরম বদনাম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জোড় দাবি জানান।অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক তিতাস মাহমুদ বলেন,’আমার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে শুধু তাদেরকেই বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। সব শিক্ষার্থীর খাতাই এমনভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে আমাদের হেড স্যার আমাদেরকে একটু সহনশীল হতে বলেছেন। প্রয়োজনে সবার খাতাই আবার চেক করে দেখতে পারেন।’তবে এই তিনজন শিক্ষার্থীই উনার কাছে প্রাইভেট পড়ে বলে তিনি শিকার করেছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল ইসলাম বলেন,’খাতা দেখার ক্ষেত্রে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।

তবে শিক্ষকদের হাতে থাকা মূল্যায়নের ৩০ নম্বরের ব্যাপারে আমি সবাইকে লিভারেল হতে বলেছি। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)উজ্জ্বল রায় বলেন,’কারো খাতা মূল্যায়নে বেশি নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মধ্যনগরে শিক্ষকের অবিনব কায়দার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 08:26:17 pm, Tuesday, 25 February 2025

শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেটমুখী করতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবিনব কায়দায় অনিয়ম দুর্নীতি করে বেশি নাম্বার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারের পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানকারী শিক্ষক তিতাস মাহমুদ এক অবিনব কায়দা অবলম্ব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় কম নম্বর পেলেও অনিয়ম দুর্নীতি করে তাদেরকে বেশি নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণ করান। পাশাপাশি ক্লাসে ভাল শিক্ষার্থী বানানোর প্রমাণ করাতে এ ধরণের মনমানসিকতা নিয়ে কারচুপি করেন তিনি। এমনি ঘটনা ঘটিয়েছেন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাইয়ে এর প্রমান মিলেছে । সম্প্রতি মোহনগঞ্জ বৈষম্যহীন নাগরিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজন বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রে অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়ার তথ্যপ্রমাণ সহ একটি চিঠি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেছেন। যেখানে এই তিনজন শিক্ষার্থী গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে একেবারেই কম নম্বর পেলেও তাদের খাতা মূল্যায়ন করে বেশি নম্বর দিতে দেখা গেছে। প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের কাছে সুনাম অর্জন করতেই কতিপয় অসাধু শিক্ষক এমন পন্থা অবলম্ব করেছে বলে এ অভিযোগে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে যারা প্রাইভেট পড়েনা তাদেরকেও বাঁকা চোখে দেখেন এমন প্রকৃতির শিক্ষকরা। এই সংগঠনটি উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে মহান এই পেশাটির এখন চরম বদনাম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জোড় দাবি জানান।অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক তিতাস মাহমুদ বলেন,’আমার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে শুধু তাদেরকেই বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। সব শিক্ষার্থীর খাতাই এমনভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে আমাদের হেড স্যার আমাদেরকে একটু সহনশীল হতে বলেছেন। প্রয়োজনে সবার খাতাই আবার চেক করে দেখতে পারেন।’তবে এই তিনজন শিক্ষার্থীই উনার কাছে প্রাইভেট পড়ে বলে তিনি শিকার করেছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল ইসলাম বলেন,’খাতা দেখার ক্ষেত্রে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।

তবে শিক্ষকদের হাতে থাকা মূল্যায়নের ৩০ নম্বরের ব্যাপারে আমি সবাইকে লিভারেল হতে বলেছি। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)উজ্জ্বল রায় বলেন,’কারো খাতা মূল্যায়নে বেশি নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।