Dhaka 9:59 pm, Saturday, 15 March 2025

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ মেম্বারদের!

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ করেছেন দুই মেম্বার। এছাড়াও চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়ম করছেন। দায়িত্ব পালন করলেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাসিক সম্মানী পান না চার মেম্বার। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল সরকার ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জিল্লুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে মেম্বার জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে শাহাদত হোসেন দায়িত্ব পালনকালে ২০২৩ সালের মৃত ব্যক্তি শনাক্তপূর্বক দুটি মৌজায় ৪টি বয়স্ক ভাতা ও ১০টি বিধবা ভাতা প্রতিস্থাপনের জন্য রেজুলেশন করে প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জমা দেন। এরপর উপনির্বাচনে শহিদুল ইসলাম শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২০২৪ সালে পুনরায় ব্যক্তি শনাক্ত পূর্বক আগের দেওয়া নামগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমানকে না জানিয়ে বাদ দেন। ওই নামগুলোর পরিবর্তে চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ওয়ার্ডের লোকজনের নাম দিয়ে রেজুলেশন করেন। সেই রেজুলেশনে জিল্লুর রহমান ও জয়নাল সরকারের স্বাক্ষর জাল করা হয়। পরে জাল স্বাক্ষরের সেই রেজুলেশন সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনজন ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীর একজন বেঁচে থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন পতিত সরকারের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি সেসময় গর্ভবর্তী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতাভোগীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে নিজস্ব দালাল বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তিনি গোপনে পরিষদের দুই একটি মাসিক সভা করেন, সে সভায় অধিকাংশ মেম্বারকে ডাকা হয় না।
শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চারজন মেম্বার- ১নং ওয়ার্ডের জয়নাল সরকার, ৫নং ওয়ার্ডের জিল্লুর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ৭নং ওয়ার্ডের জিল্লুর রহমান পরিষদের মাসিক সম্মানী ভাতা পান না। এসব বিষয়ে প্রতিকারের জন্য রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার জয়নাল সরকার, জিল্লুর রহমান ও শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন, আমি কেন মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করবো? এমন অভিযোগ অবিশ্বাস্য।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ মেম্বারদের!

Update Time : 07:09:08 pm, Saturday, 11 January 2025
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ করেছেন দুই মেম্বার। এছাড়াও চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়ম করছেন। দায়িত্ব পালন করলেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাসিক সম্মানী পান না চার মেম্বার। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল সরকার ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জিল্লুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে মেম্বার জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে শাহাদত হোসেন দায়িত্ব পালনকালে ২০২৩ সালের মৃত ব্যক্তি শনাক্তপূর্বক দুটি মৌজায় ৪টি বয়স্ক ভাতা ও ১০টি বিধবা ভাতা প্রতিস্থাপনের জন্য রেজুলেশন করে প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জমা দেন। এরপর উপনির্বাচনে শহিদুল ইসলাম শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২০২৪ সালে পুনরায় ব্যক্তি শনাক্ত পূর্বক আগের দেওয়া নামগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমানকে না জানিয়ে বাদ দেন। ওই নামগুলোর পরিবর্তে চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ওয়ার্ডের লোকজনের নাম দিয়ে রেজুলেশন করেন। সেই রেজুলেশনে জিল্লুর রহমান ও জয়নাল সরকারের স্বাক্ষর জাল করা হয়। পরে জাল স্বাক্ষরের সেই রেজুলেশন সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনজন ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীর একজন বেঁচে থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন পতিত সরকারের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি সেসময় গর্ভবর্তী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতাভোগীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে নিজস্ব দালাল বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তিনি গোপনে পরিষদের দুই একটি মাসিক সভা করেন, সে সভায় অধিকাংশ মেম্বারকে ডাকা হয় না।
শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চারজন মেম্বার- ১নং ওয়ার্ডের জয়নাল সরকার, ৫নং ওয়ার্ডের জিল্লুর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ৭নং ওয়ার্ডের জিল্লুর রহমান পরিষদের মাসিক সম্মানী ভাতা পান না। এসব বিষয়ে প্রতিকারের জন্য রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার জয়নাল সরকার, জিল্লুর রহমান ও শাহ মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন, আমি কেন মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করবো? এমন অভিযোগ অবিশ্বাস্য।