Dhaka 6:49 pm, Friday, 21 March 2025

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি আ.লীগ নেতার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাথি মেরে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

শনিবার (৮ মার্চ)  রাতে হাতীবান্ধা থানায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন আহত গৃহবধূর শ্বশুর জোনাব আলী। জানা গেছে, শনিবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা সুইটি বেগমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু সুইটি উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের সাবু মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম একই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি। স্থানীয় সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্থকর্মী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুইটি বেগমের বাড়ির পাশের তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরদের নামীয় ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের। জমিতে চাষাবাদ করত সুইটি বেগমের চাচা শ্বশুর জোনাব আলী। শনিবার সকালে হঠাৎ দেশি অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে সেই চাষাবাদ করা জমি জবর দখল করতে ঘর উঠাতে যায় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। এতে বাঁধা দিলে জোনাব আলী ও তার স্ত্রীকে রোসনা বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে সিরাজুলের লোকজন।

সুইটি বেগমের স্বামী সাবু মিয়া বলেন, সিরাজুলরা আওয়ামী লীগের আমলেও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। এখনও তারা চোরাগুপ্তভাবে হামলা চালাচ্ছে। সিরাজুলের লোকজন জোনাব চাচা ও চাচিকে মারধর করছিল। তাদের কবল থেকে বাঁচাতে আমার বউ সুইটি বেগম এগিয়ে যান। তাকেও পেটে লাথি মারে সিরাজুল।

বাদী কৃষক জোনাব আলী বলেন, আমার চাষাবাদ করা জমিতে তারা বেড়া নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেই। এতে সিরাজুল ও তার বাহিনী আমাদের ৫ জনকে মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করেছে। সিরাজুলের লাথিতে আমার ভাতিজার অন্তঃসত্ত্বা বউ এখনও সজ্ঞাহীন। ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছি। হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করলে দু’টি অভিযোগই নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি আ.লীগ নেতার

Update Time : 10:41:18 pm, Sunday, 9 March 2025

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাথি মেরে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

শনিবার (৮ মার্চ)  রাতে হাতীবান্ধা থানায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন আহত গৃহবধূর শ্বশুর জোনাব আলী। জানা গেছে, শনিবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা সুইটি বেগমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু সুইটি উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের সাবু মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম একই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি। স্থানীয় সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্থকর্মী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুইটি বেগমের বাড়ির পাশের তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরদের নামীয় ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের। জমিতে চাষাবাদ করত সুইটি বেগমের চাচা শ্বশুর জোনাব আলী। শনিবার সকালে হঠাৎ দেশি অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে সেই চাষাবাদ করা জমি জবর দখল করতে ঘর উঠাতে যায় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম। এতে বাঁধা দিলে জোনাব আলী ও তার স্ত্রীকে রোসনা বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে সিরাজুলের লোকজন।

সুইটি বেগমের স্বামী সাবু মিয়া বলেন, সিরাজুলরা আওয়ামী লীগের আমলেও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। এখনও তারা চোরাগুপ্তভাবে হামলা চালাচ্ছে। সিরাজুলের লোকজন জোনাব চাচা ও চাচিকে মারধর করছিল। তাদের কবল থেকে বাঁচাতে আমার বউ সুইটি বেগম এগিয়ে যান। তাকেও পেটে লাথি মারে সিরাজুল।

বাদী কৃষক জোনাব আলী বলেন, আমার চাষাবাদ করা জমিতে তারা বেড়া নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেই। এতে সিরাজুল ও তার বাহিনী আমাদের ৫ জনকে মারপিট ও রক্তাক্ত জখম করেছে। সিরাজুলের লাথিতে আমার ভাতিজার অন্তঃসত্ত্বা বউ এখনও সজ্ঞাহীন। ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছি। হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করলে দু’টি অভিযোগই নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।