Dhaka 10:26 pm, Thursday, 22 May 2025

কান উৎসবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবজয়ী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবজয়ী অভিনেত্রী

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় এবারও নজর কাড়লেন বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ২০০২ সাল থেকে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়মিত উপস্থিতি থাকলেও এবারের সাজ ছিল একেবারে ব্যতিক্রমী। ২৩ বছর পর তিনি আবারও ফিরলেন বেনারসি শাড়িতে, তাও রাজকীয় গয়নায় মোড়ানো এক অপূর্ব লুকে।

ঐশ্বরিয়ার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা এই শাড়িটি তৈরি করেছেন খ্যাতনামা পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রা। অভিনেত্রী পরেছিলেন হাতে বোনা ‘কড়ওয়া’ বেনারসি শাড়ি, যা বেনারসির সবচেয়ে জটিল বুনন পদ্ধতিতে তৈরি। এই শাড়ির জরি বোনা হয়েছে রূপা এবং রোজ গোল্ডের সুতায়, যার উপর সূক্ষ্ম জারদৌসি কারুকাজ। পোশাকে নাটকীয়তা আনতে সঙ্গে ছিল দুধ-সাদা স্বচ্ছ টিস্যু ওড়না।

শুধু শাড়ি নয়, ঐশ্বরিয়ার গলায় থাকা ৫০০ ক্যারেটের মোজাম্বিক চুনির মালা ছিল আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই ধরনের চুনি বাজারে অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য এবং প্রতিটি ক্যারেটের দাম পড়ে ২০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো। ফলে শুধু এই চুনির হারগুলোর মূল্যই দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকায়। সঙ্গে ছিল বড় হিরের গয়না ও হাতে চুনির আংটি।

চুনির গয়নার পাশাপাশি তাঁর পোশাকে ব্যবহৃত সোনাও ছিল ১৮ ক্যারেটের। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১৮ ক্যারেট সোনার (প্রতি ১০ গ্রাম) দাম প্রায় ৭১,০০০ রুপি। ঐশ্বরিয়া গয়নাগুলি এবং শাড়িতে ব্যবহৃত সোনার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শাড়ি, টিস্যু ওড়না, ৫০০ ক্যারেটের চুনির মালা, হিরে এবং ১৮ ক্যারেট সোনার ব্যবহার মিলিয়ে অনুমান করা হচ্ছে, কানের লাল গালিচায় ঐশ্বর্যার সাজে মোট খরচ কয়েক শো’ কোটি টাকার কাছাকাছি।

এ যেন শুধুই ফ্যাশন নয়, বরং ভারতীয় ঐতিহ্য আর বিলাসবহুলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। বিশ্বদরবারে ভারতের সংস্কৃতিকে গ্ল্যামার ও গর্বের সঙ্গে তুলে ধরলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবজয়ী এই অভিনেত্রী।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কান উৎসবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবজয়ী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া

Update Time : 06:41:46 pm, Thursday, 22 May 2025

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় এবারও নজর কাড়লেন বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ২০০২ সাল থেকে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়মিত উপস্থিতি থাকলেও এবারের সাজ ছিল একেবারে ব্যতিক্রমী। ২৩ বছর পর তিনি আবারও ফিরলেন বেনারসি শাড়িতে, তাও রাজকীয় গয়নায় মোড়ানো এক অপূর্ব লুকে।

ঐশ্বরিয়ার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা এই শাড়িটি তৈরি করেছেন খ্যাতনামা পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রা। অভিনেত্রী পরেছিলেন হাতে বোনা ‘কড়ওয়া’ বেনারসি শাড়ি, যা বেনারসির সবচেয়ে জটিল বুনন পদ্ধতিতে তৈরি। এই শাড়ির জরি বোনা হয়েছে রূপা এবং রোজ গোল্ডের সুতায়, যার উপর সূক্ষ্ম জারদৌসি কারুকাজ। পোশাকে নাটকীয়তা আনতে সঙ্গে ছিল দুধ-সাদা স্বচ্ছ টিস্যু ওড়না।

শুধু শাড়ি নয়, ঐশ্বরিয়ার গলায় থাকা ৫০০ ক্যারেটের মোজাম্বিক চুনির মালা ছিল আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই ধরনের চুনি বাজারে অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য এবং প্রতিটি ক্যারেটের দাম পড়ে ২০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো। ফলে শুধু এই চুনির হারগুলোর মূল্যই দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকায়। সঙ্গে ছিল বড় হিরের গয়না ও হাতে চুনির আংটি।

চুনির গয়নার পাশাপাশি তাঁর পোশাকে ব্যবহৃত সোনাও ছিল ১৮ ক্যারেটের। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১৮ ক্যারেট সোনার (প্রতি ১০ গ্রাম) দাম প্রায় ৭১,০০০ রুপি। ঐশ্বরিয়া গয়নাগুলি এবং শাড়িতে ব্যবহৃত সোনার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শাড়ি, টিস্যু ওড়না, ৫০০ ক্যারেটের চুনির মালা, হিরে এবং ১৮ ক্যারেট সোনার ব্যবহার মিলিয়ে অনুমান করা হচ্ছে, কানের লাল গালিচায় ঐশ্বর্যার সাজে মোট খরচ কয়েক শো’ কোটি টাকার কাছাকাছি।

এ যেন শুধুই ফ্যাশন নয়, বরং ভারতীয় ঐতিহ্য আর বিলাসবহুলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। বিশ্বদরবারে ভারতের সংস্কৃতিকে গ্ল্যামার ও গর্বের সঙ্গে তুলে ধরলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাবজয়ী এই অভিনেত্রী।