
ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধে নতুন উদ্যোগ হিসেবে রাজধানীজুড়ে অন্তত ৫০টি স্থানে বসানো হবে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ (বায়ু পরিশোধন যন্ত্র)। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গত সোমবার গুলশানে এক পলিসি ডায়ালগে এই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতিটি এয়ার পিউরিফায়ার ১০০টি গাছের সমান বায়ু পরিশোধন ও শীতলীকরণে সক্ষম।
এয়ার পিউরিফায়ারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ধূলিকণা, জীবাণু এবং ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি কমানোর পাশাপাশি তা শীতলীকরণেও সাহায্য করবে। যন্ত্রগুলো ফিল্টার বা ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাতাসে থাকা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা শোধন করবে, যা বাতাসের গুণগত মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।
প্রথম পর্যায়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এসব যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি একটি ক্ষুদ্র পরিসরে কার্যকর হলেও ঢাকার মত ঘনবসতিপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের মূল সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট নয়। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এয়ার পিউরিফায়ার একমাত্র সমাধান হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম এবং বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান।
ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বায়ুদূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) জানিয়েছে, গত ৯ বছরে ঢাকার বাসিন্দারা মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে শ্বাস নিতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিবছরই ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে, এবং ২০২৪ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বায়ুদূষিত দেশ ছিল বাংলাদেশ।