Dhaka 9:12 pm, Tuesday, 20 May 2025

সামাজিক নিঃসঙ্গতায় এআই হতে পারে সহচর

নিঃসঙ্গতায় এআই হতে পারে সহচর

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের সামাজিক জীবনে সহচরের ভূমিকা নিতে পারে, তবে কখনোই তা মানবিক সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না।

সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষক দ্বারকেশ প্যাটেলের এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে জাকারবার্গ বলেন, প্রযুক্তি আমাদের যোগাযোগের ধরন পাল্টে দিচ্ছে এবং এআই ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনের সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে প্রবেশ করেছে।

জাকারবার্গ জানান, এআই এখন কেবল চ্যাটবট বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নয়, বরং মানুষ তা ব্যবহার করছে মানসিক সমর্থন, পরামর্শ এবং একধরনের বন্ধুত্বের মাধ্যম হিসেবেও। তিনি রেপ্লিকা, ক্যারেক্টার.এআই এবং মেটার নিজস্ব এআই ফিচারগুলোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত সংকট বা নিঃসঙ্গতার মুহূর্তে।

তবে জাকারবার্গ স্পষ্ট করেন, “এআই সম্পর্কের বিকল্প নয়, বরং তা একটি সহায়ক মাধ্যম। বাস্তব সম্পর্কের জায়গা এটি কখনোই নিতে পারবে না।”

তিনি মনে করেন, এআই-এর ব্যক্তিগতকরণ প্রক্রিয়া মানুষ ও প্রযুক্তির সম্পর্ককে আরও গভীর, বিশ্বস্ত ও আবেগনির্ভর করছে। তবে এর সঙ্গে গোপনীয়তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক বিষয়গুলো জড়িয়ে আছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

মেটা সিইও আরও জানান, ভবিষ্যতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেটাভার্সে এআই ভিত্তিক সামাজিক ফিচার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে তার প্রতিষ্ঠান। এতে করে ব্যবহারকারীরা মানসিকভাবে আরও বেশি সমর্থন ও সংযুক্তি অনুভব করতে পারবেন বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সামাজিক নিঃসঙ্গতায় এআই হতে পারে সহচর

Update Time : 04:40:40 pm, Monday, 5 May 2025

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের সামাজিক জীবনে সহচরের ভূমিকা নিতে পারে, তবে কখনোই তা মানবিক সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না।

সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষক দ্বারকেশ প্যাটেলের এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে জাকারবার্গ বলেন, প্রযুক্তি আমাদের যোগাযোগের ধরন পাল্টে দিচ্ছে এবং এআই ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনের সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে প্রবেশ করেছে।

জাকারবার্গ জানান, এআই এখন কেবল চ্যাটবট বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নয়, বরং মানুষ তা ব্যবহার করছে মানসিক সমর্থন, পরামর্শ এবং একধরনের বন্ধুত্বের মাধ্যম হিসেবেও। তিনি রেপ্লিকা, ক্যারেক্টার.এআই এবং মেটার নিজস্ব এআই ফিচারগুলোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত সংকট বা নিঃসঙ্গতার মুহূর্তে।

তবে জাকারবার্গ স্পষ্ট করেন, “এআই সম্পর্কের বিকল্প নয়, বরং তা একটি সহায়ক মাধ্যম। বাস্তব সম্পর্কের জায়গা এটি কখনোই নিতে পারবে না।”

তিনি মনে করেন, এআই-এর ব্যক্তিগতকরণ প্রক্রিয়া মানুষ ও প্রযুক্তির সম্পর্ককে আরও গভীর, বিশ্বস্ত ও আবেগনির্ভর করছে। তবে এর সঙ্গে গোপনীয়তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক বিষয়গুলো জড়িয়ে আছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

মেটা সিইও আরও জানান, ভবিষ্যতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেটাভার্সে এআই ভিত্তিক সামাজিক ফিচার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে তার প্রতিষ্ঠান। এতে করে ব্যবহারকারীরা মানসিকভাবে আরও বেশি সমর্থন ও সংযুক্তি অনুভব করতে পারবেন বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।