
প্রসঙ্গটি তুলতেই আগে খুব এক চোট হেসে নিলেন ফারুক আহমেদ। সময় নিয়ে হাসা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেললেন যেন, ‘এটি একটি ভালো দিক যে লাহোরে এসে আফ্রিদির সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।’দেখা না হলেও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসের মেন্টর হিসেবে চুক্তির বেশির ভাগ অর্থ বুঝে না পাওয়া শহীদ আফ্রিদির কাছ থেকে ই-মেইল পাওয়ার ঘটনা ঠিকই পিছু নিয়ে আছে ফারুকের।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার অভিযোগ জানালেও চুক্তির কপি পাঠাননি বলে বিসিবি সভাপতি এখনো কিছুটা অন্ধকারে।তবে চুক্তিতে যা-ই থাকুক, এখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের তেমন কিছু করার দেখছেন না ফারুক। এফটিপির (ফিউচার ট্যুরস প্রগ্রাম) বাইরের তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির সিরিজ নিশ্চিত করে দিয়েছেন পিসিবি সভাপতিও, ‘বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা এই সিরিজ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অচিরেই দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।’চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতার পর পিসিবি ভবিষ্যৎ ভাবনায় এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞদের ছেঁটে ফেলে সামনে এগোতে চাইছে। সিনিয়র যারা আছে, এটি (অবসরের সিদ্ধান্ত) তাদের দিক থেকেই আসা উচিত। বোর্ড কী করবে, সেটি পরে ঠিক করা হবে। তা ছাড়া আমাদের পরের সাদা বলের সিরিজেরও দেরি আছে, জুলাই-আগস্টে। সময় আছে এটি নিয়ে কথা বলার।’ জাতীয় দলের জন্য কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবশ্য সপ্তাহখানেকের মধ্যেই নিয়ে ফেলতে চান বিসিবি সভাপতি।